Homeআন্তর্জাতিকমানবাধিকারের বুলি আওড়ানো যুক্তরাষ্ট্রেই হুমকির মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা

মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো যুক্তরাষ্ট্রেই হুমকির মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন নিয়ে প্রতিবেদন করায় চলতি সপ্তাহে ২০ জনের বেশি সাংবাদিক গ্রেফতার ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে তাদের দমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয় দমন পীড়ন চালানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আটক, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত কোনো কিছুই বাদ রাখেনি তারা।

এ অবস্থায় এবার বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট। তাদের প্রতিবেদনের তথ্য মতে, দেশটিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে রয়েছে। শুধু চলতি সপ্তাহেই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে গ্রেফতার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে ২০ জনের বেশি সাংবাদিক আটক বা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময়ও ঘনিয়ে আসছে। এতে সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এ রকম ঘটনা শুধু সাংবাদিকদের নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে বলেই মত তাদের। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের সময় নিজেকে রক্ষা করতে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট সাংবাদিকের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

গাজায় গণহত্যার শুরু থেকেই লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্কের মতো বিশ্বের সব বড় বড় শহরে নিয়মিত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেসব বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিদিন অংশ নিচ্ছে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। এসব বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনে অবিলম্বে সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সাথে সংহতি জানিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন ও বিক্ষোভ। যা কয়েকদিনের ব্যবধানে তীব্র রূপ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন গণহত্যাবিরোধী শিক্ষকরাও।

এখন থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয় ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কমপক্ষে ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version