Homeআন্তর্জাতিকগাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি বাইডেনের!

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি বাইডেনের!

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে উপত্যকাটির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা। খবর আল জাজিরার।

সোমবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তাদের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোনে যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়েছেন। মিশরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামেলকেও একই কথা বলেছেন তিনি।

এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাইডেন প্রশাসনের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। সোমবার তিনি বলেছেন, বর্তমানে যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান বিল বার্নস কাজ করছেন। বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবাই এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চেষ্টা করছেন।

সিআইএ প্রধান কাতারের দোহায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষে সোমবারই জেরুজালেমে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি গিয়েছিলেন ইসরাইলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য। বিল বার্নসের দোহা সফরের পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে চুক্তিতে রাজি হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, সিআইএ প্রধান মধ্যপ্রাচ্যে যে আলোচনা করেছেন, তার ফলশ্রুতিতেই হামাসের ওই প্রতিক্রিয়া এসেছে।

তবে হামাস চুক্তির কী কী শর্তে রাজি হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি যুক্তরাষ্ট্রের এ কর্মকর্তা।

হামাসের রাজি হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তিনটি ধাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খলিল আল-হায়া। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গাজায় নিজেদের বাসায় ফিরিয়ে আনা হবে। বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রীর সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। এছাড়া হামাসের হাতে জিম্মি থাকা প্রত্যেক নারীকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের বিষয়ে আল-হায়া বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে পুরুষ জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে আরও ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। তবে তাদের সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আর তৃতীয় ধাপের মধ্যে থাকবে তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন শুরু করা।

সর্বশেষ খবর