Homeজাতীয়পানির কল ছেড়ে শেভ করতে নিষেধ করলেন প্রধানমন্ত্রী

পানির কল ছেড়ে শেভ করতে নিষেধ করলেন প্রধানমন্ত্রী

পানি-বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অযথা পানির কল ছেড়ে রেখে শেভ করা কিংবা কাপড় পরিষ্কারসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক অপচয়মূলক কাজের জন্য পানির খরচ বাড়ছে।
শনিবার (২৫ মে) বঙ্গবাজারে নতুন মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ সব বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,
পানির কল ছেড়ে রেখে কাপড় পরিষ্কার, শেভ করা অথবা দাঁত পরিষ্কারের মতো কাজ করবেন না। তার জন্য মগ কিংবা বালতি ব্যবহার করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, পানি যত অপচয় হবে, বিল তত বাড়বে। তাই বিল কমাতে চাইলে সাশ্রয়ী হতে হবে। দেশে এসব খাতের উৎপাদন বাড়ছে, কিন্তু অপচয় বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একসময় দেশের পানি-বিদ্যুতের তীব্র সংকট ছিল। বিএনপির এক নেতা এজন্য জনগণের ধাওয়াও খেয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে এখন এসব খাতে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে।

ভালো ও স্বাস্থ্যকর পানির জন্য জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাসা-বাড়ির পানির টাংকি অন্তত ৬ মাসে একবার পরিষ্কার করতে হবে। পাশাাপাশি পানির পাইপ ঠিক আছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। সেইসঙ্গে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নিজের ঘর-বাড়ি এবং আশপাশে যেন পানি জমে না থাকে তা খেয়াল রাখার পরামর্শও দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় দেশে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট। সেখান থেকে ৫ বছরে ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব হয়। আবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে উৎপাদন কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়। সেখান থেকে উৎপাদন এখন অনেক বাড়ানো হয়েছে। তবে উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহারও। মানুষ এখন আর লাকড়ির চুলায় রান্না করে না। রান্নার জন্য রয়েছে গ্যাস কিংবা ইলেকট্রিক রাইস কুকার। সেইসঙ্গে মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা টেলিভিশন ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ তো আছেই। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী হতে হবে। সরকারকে এখাতে অনেক ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আমূল পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিএনপির সময়ে একটা মোবাইল কিনতে খরচ পড়তো ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ফোন ধরলেও ১০ টাকা, আর করলেও ১০ টাকা কাটা হতো। এখন ঘরে বসেই মানুষ বিদেশে থেকে টাকা আয় করতে পারছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে, কারণ এই সরকার সারা দেশে ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছে।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version