ইউরোপ থেকে সৌদি আরব অভিমুখে ফুটবলারদের দলবদলের একটা নতুন ধারা শুরু হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপ শেষে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো শুরু করে দেয়ার পর সেই স্রোতে ভেসেছেন অনেকেই। অর্থের ঝনঝনানিতে অনেক নামি-দামি ফুটবলারের পা পড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ক্লাবে।
নেইমার জুনিয়র থেকে শুরু করে করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনো, ফ্যাবিনহো, জোয়াও ক্যানসেলো, পিয়েরে এমেরিক, নাচো, রিয়াদ মাহরেজ, এনগোলো কান্তে, এমেরিক লাপোর্তে; ইউরোপের প্রায় সব প্রভাবশালী ফুটবলারই সৌদি আরবের ক্লাবগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ আগে থেকেই যাচ্ছেন মেজর লিগ সকারের দলগুলোতে। সেই স্রোতের কোনোটিতেই গা ভাসাননি গত মেতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ছাড়া মেম্ফিস ডিপাই।
তিনি লাতিন আমেরিকান নন, বুড়িয়েও যাননি ততটা। ৩০ বছর বয়সেই ছাড়লেন ইউরোপ। স্রোতের প্রতিকূলে হেঁটে এই ডাচ নাম লিখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়াসে। গোল ডটকমের খবর, এরইমধ্যে মেডিক্যাল সম্পন্ন হয়ে গেছে তার। গত কয়েক বছরে তিনি খেলেছেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বার্সেলোনা ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মতো বিশ্বখ্যাত ক্লাবে। কোথাও থিতু হতে না পারায় এবার লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে ঠাঁই খুঁজলেন।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের শীর্ষ লিগ সিরি ‘এ’র এখন মাঝমৌসুম। এই লিগেই খেলে করিন্থিয়াস। মাঝমৌসুমে তাদের অবস্থান অবনমন জোনে। ২০ ক্লাবের মধ্যে টেবিলে ১৭ নম্বরে তাদের অবস্থান। এমন অবস্থায় ফ্রি এজেন্ট হিসেবে স্ট্রাইকার ডিপাইকে দলে ভিড়িয়েছে তারা।
পিএসভি এইন্দহেভেন দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ডিপাই। ডাচ ক্লাবের হয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মনযোগ কাড়েন। ইংল্যান্ডের ক্লাবটিতে চূড়ান্ত মাত্রায় ফ্লপ হন তিনি। অথচ তাকে দেয়া হয়েছিল জর্জ বেস্ট, এরিক ক্যান্টোনা, ডেভিড বেকহ্যাম ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের পরা বিখ্যাত ৭ নম্বর জার্সি।
ম্যান ইউনাইটেডে ফ্লপ ডিপাই এরপর গেলেন ফরাসি ক্লাব লিঁওতে। সেখানে গিয়ে আবার ছন্দ ফিরে পান। পাঁচ মৌসুমে ৭৬ গোল করে লিঁও ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার পর থেকেই দুঃসময় তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাকে। লিঁও ছাড়ার পর তার গোলসংখ্যা মাত্র ২৭।