Homeজেলাসারাদেশে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

সারাদেশে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

ভোলা প্রতিনিধি।।

বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে ভোলার চরফ্যাশনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার(৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ২১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা চরফ্যাশন সদরের ফ্যাসন স্কয়ারে সভাস্থলে একত্রিত হয়। এসময় নুরুল ইসলাম নয়নের পক্ষে মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে চরফ্যাশন পৌর সদর ও ফ্যাসন স্কয়ার।

জানাযায়, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পক্ষে উপজেলার ২১ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে চরফ্যাশন অবস্থান নেন। এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সালাম জানিয়ে নুরুল ইসলাম নয়নের পক্ষে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা র‌্যালী ও সমাবেশ অংশ নেন। এবং মিছিলে মিছিলে মুখরিত করে তুলেন চরফ্যাশনের পৌর সদর।

ভোলার চরফ্যাশনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
ভোলার চরফ্যাশনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও অধ্যক্ষ এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস, সাবেক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিন্নাগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মনজুর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোফরান মহাজন,উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কয়সর আহম্মেদ কমল, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন টিপু , আবুল কাশেম মিয়া, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ভুট্টু, উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা সেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক হুমায়ুক কবির সিকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান শাহীন, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও চরফ্যাসন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কামাল গোলদার,উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ হাওলাদার, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল,উপজেলা যুবদল নেতা ও শশীভূষণ প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান শাহীন, পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক মিল্টন, সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান নয়ন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফ ফরাজী, সদস্য সচিব অনিক কাজীসহ উপজেলা বিএনপির ও পৌর বিএনপি , যুবদল , ছাত্রদল , সেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল,ওলামাদল, তাঁতীদল, মৎস্যজিবীদল,কৃষকদলসহ উপজেলা বিএনপির অংঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

কু‌ড়িগ্রাম প্রতি‌নি‌ধি।।

৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুড়িগ্রামে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ র‌্যালী‌টি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ এর নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কলেজ মোড়ে পথ সভার মধ‌্য দি‌য়ে শেষ হয় ।

কু‌ড়িগ্রা‌মে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
কু‌ড়িগ্রা‌মে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

এসময় আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সোহেল হোসানাইন কায়কোবাদ, জেলা বি এন ‌পির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম রুবেল,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহাবুব রহমান, আলতাফ হোসেন, ইদ্রিস আলী,জেলা যুবদলের রায়হান কবির,সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরমান হোসেন,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক,জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এসময় বক্তারা ব‌লেন,১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় জনতা যেমন সস্তি ফিরে পেয়েছিল তেমনি ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে জিয়ার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার ভাষণ শুনে জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল, চলমান অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পে‌য়ে‌ছিল। ৭ নভেম্বর সকালেই সাধারণ সিপাহিরা ট্রাক নিয়ে, ট্যাংক নিয়ে জনতার সাথে আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে সেনানিবাস থেকে বের হয়ে এসেছিল।

 

পিরোজপুর প্রতিনিধি।।

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় জেলা যুবদলের সদস্য সচিব জেলা যুবদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক মাসুদ এর নেতৃত্বে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউনক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। পরে মিছিলে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ যোগদান করেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি কামরুজ্জামান তুষার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, যুগ্ম আহবায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক মাসুদ, যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ সরদার, যুগ্ম আহবায়ক সালমান জাকির।

পিরোজপুরে  জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা
পিরোজপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা

এসময় বক্তারা বলেন ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্যতম দিন। এদিনটির তাৎপর্য আমাদের বুঝতে হবে। দেশের তৎকালীন রাজনৈতিক গতিধারা পাল্টে গিয়েছিলো আজকের দিনে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদীদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলো। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি।।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপির সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় বিল্পব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল ‘বিএনপি’র ধামইরহাট স্থানীয় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো.শহিদুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মো.হানজালা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম (মুসা), উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো.রুহুল আমিন, যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম লিটন, পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আনারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য শামীম কবির মিল্টন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ ওয়াদুদ, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম, পৌর কৃষকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, কৃষকদল নেতা রিপন প্রমুখ।

ধামইরহাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে
ধামইরহাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বক্তাগণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশের জন্য রেখে যাওয়া অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং আগামীতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশের পরিচালনায় বিএনপি ক্ষমতায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নওগাঁ প্রতিনিধি।।

নওগাঁ মান্দায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা শিক্ষক সমিতি মিলনায়তন রুমে এই দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় মান্দা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও গণেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মোঃ আব্দুল লতিফ খান।

মান্দায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা
মান্দায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা

এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এম এ মতিন ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এ.কে. এম নাজমুল হক নাজু, যুগ্ন আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন টুকু, মোজাম্মেল হক মুকুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান মকে,সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ইকরামুল বারী টিপু প্রমুখ।

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি।।

নওগাঁর রাণীনগরে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এদিন বিকাল ৪টায় উপজেলা সদরের বিএনপির মোড় থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। র‌্যালিটি সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে উপজেলা বাসট্যান্ড এলাকায় দলীয় অফিসের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাণীনগরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
রাণীনগরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এছাহক আলী, সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মখলেছুর রহমান বাবু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজ এ আলম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিমুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মতিউর রহমান উজ্জল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক শরিফ মাহমুদ সোহেল, জিয়া সাইভার ফোর্সের সভাপতি শামীম হোসেন প্রমুখ।

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে জাতি যখন দিশেহারা তখনই নেতৃত্বশূণ্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে “উই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। এটাই ইতিহাস। কিন্তু আওয়ামীলীগ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস শিখিয়েছে। বিপ্লব উদ্যানকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত মুক্তিযুদ্ধের সকল স্থাপনাকে সংরক্ষণ করা হবে। বিপ্লব উদ্যানের সকল স্থাপনা ভেঙ্গে গ্রীন পার্ক করা হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর ২ নং গেইট ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণকালে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন
বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন

ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি গার্মেন্টস সেক্টরের উদ্ভব ঘটিয়েছেন। বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের গতি সঞ্চারিত করেছিলেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের আকাশে জিয়াউর রহমান এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। ব্যক্তিগত সততা ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকায় তার একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। তিনি প্রচলিত ধারার রাজনীতির বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব মানুষের সামনে হাজির করেন। জনগণ তার সে রাজনীতিকে গ্রহণ করেছিল। তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে এদেশের মানুষ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথনির্দেশক বলেই গ্রহণ করেছিল।

ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ভিন দেশের আধিপত্য মোকাবেলায় ৭নভেম্বরের চেতনা ধারণ করতে হবে। ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের মাটি ও মানুষকে মুক্ত করতে জিয়াউর রহমানের যুগ শ্রেষ্ঠ ভূমিকার কথা স্মরণ করে এদেশের সিপাহী জনতা ৭৫ এর ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিল।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেন, ৭ নভেম্বর বিপ্লব এদেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে ৭ নভেম্বরের বিপ্লবী চেতনা কিশোর তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল চৌধুরী, এম এ হান্নান, মুজিবুল হক, মোহাম্মদ মহসিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মশিউল আলম স্বপন, শিহাব উদ্দিন আলম, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, জাফর আহমেদ, এ কে খান, মাহবুব রানা, নুর উদ্দিন হোসেন নুরু, হানিফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম, ইসমাইল বালি, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর