মিকাইল হোসাইন, পাবিপ্রবি প্রতিনিধি।।
গ্রামের নির্মল পরিবেশ, পল্লী জীবনের সরলতা এবং মানবিক আবেগের রূপায়ণে ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টায় আয়োজন করা হয় “নক্ষত্রের রাত-২য় প্রহর”। কণ্ঠস্বর আবৃত্তি দলের ব্যতিক্রমী এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মনোরম পরিবেশে।
অনুষ্ঠানে পল্লী জীবনের সুখ-দুঃখ, বিরহ-বিচ্ছেদ, সৌন্দর্য এবং সাধারণ জীবনের গল্প তুলে ধরার জন্য মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সরল বধুর জীবন, সাজু-রুপাইয়ের দূরত্ব এবং গ্রামীন জীবনের অনন্য সাধারণ রূপায়ণ দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ—সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল ইসলাম, প্রভাষক আবরার তাজওয়ার রিজন এবং প্রভাষক তুষার রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আবৃত্তি পরিবেশনার শেষে ড. নাজমুল ইসলাম স্যার নিজ কণ্ঠে একটি কবিতা আবৃত্তি করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।গ্রামীণ জীবনের গভীর রূপায়ণ এবং শিল্প-সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য “নক্ষত্রের রাত-২য় প্রহর” হয়ে উঠেছিল এক চমৎকার সন্ধ্যা।
অনুষ্ঠানে ড. মো: নাজমুল ইসলাম বলেন”কন্ঠস্বর আমার প্রাণের জায়গা,যারা তোমরা কন্ঠস্বরের সাথে জড়িত তারা নিশ্চয় জানো,বা তোমাদের উত্তরসূরী যারা আছেন কন্ঠস্বরের সাথে আমার পথচলা সেই শুরু থেকেই। গুটি গুটি পায়ে কন্ঠস্বর যে আজ এতটা ম্যাচিউর হয়েছে, এতটা প্রতিভা বিকশিত হয়েছে এটা দেখেই ভাল লাগছে। যদিও কয়েকদিন আগেই দাওয়াত পেয়েছি,আজ অনুষ্ঠান শুরুর পর আর চেম্বারে বসে থাকতে পারিনি,তাই দ্রুত চলে আসলাম সুন্দর এই আয়োজন দেখতে। ছাত্রছাত্রীদের আয়োজন, আবৃত্তি দেখেই মনে হলো কন্ঠস্বর এখন ম্যাচিউর হয়ে দাড়িয়েছে।কবিতার ভাব,কবিতার মোহ ছড়িয়ে পড়ুক সকলের মাঝে এটাই প্রত্যাশা করি।”
এরপর কন্ঠস্বরের সভাপতি আসিফুল হক তমালের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।