Homeবিনোদননওগাঁ জেলার কৃতি সন্তান ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান

নওগাঁ জেলার কৃতি সন্তান ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান

পরিচালক মতিন রহমানের জন্মঃ ১৮ মার্চ ১৯৫২ সাল গ্রামঃ সাহাপুর নওগাঁ সদর। শিক্ষাঃ মেট্রিক নওগাঁ কে. ডি, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক নওগাঁ সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদালয় । পি.এইচ.ডি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯৭৩ থেকে বর্তমান পর্যন্ত। স্ত্রী নাসিমা খান। দুই মেয়ে নওশীন ও নওরিন এক ছেলে মৃত্তিক রহমান। পিতা আব্দুল জব্বার, মাতা জামিলা খাতুন। সাত ভাই দুই বোন এর মধ্যে মতিন রহমান সবার বড়। বাসা ঢাকা মোহাম্মদ পুর।

পরিচালক আজিজুর রহমানের সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র – লালকাজল (১৯৭৩ সালে ) অন্ধবিশ্বাস চলচ্চিত্রের জন্য অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বাংলাদেশে সাংবাদিকতা সহ ফিল্ম এডুকেশানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রথম মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্ম জীবনে ডক্টর মতিন রহমান ২০০২ সাল থেকে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির মিডিয়া বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। উচ্চ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুশিক্ষিত মতিন রহমান হুমায়ূন আহমেদ এর দুইটি চলচ্চিত্র নিয়ে একটি বই
লিখেছেন।

মতিন রহমান এর উল্লেখ যোগ্য সিনেমা-
(ক) লাল কাজল (খ) চিৎকার।
(গ) স্বর্গ ও নরক (ঘ) স্নেহের বাঁধন
(ঙ) জীবনধারা (চ) রাজা রাণী।
(ছ) বীরাঙ্গনা সখিনা (জ) অন্ধবিশ্বাস
(ঝ) রাধাকৃষ্ণ (ঐ) তোমাকে চাই।
(ট) মন মানে না (ঠ) বিয়ের ফুল।
(ড) নারীর মন (ঢ) এ মন চায় যে।
(ণ) মাটির ফুল (ত) মহব্বত জিন্দাবাদ।
(খ) রং নম্বর (দ) রাক্ষসী।
(ধ) তোমাকে চাই। সহ অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্র।

তিনি নিজে যে সকল সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য সিনেমা-

(ক) অভিথি (খ) স্নেহের বাধন
(গ) নারীর মন (ঘ) বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ
(৫) রাক্ষসী সহ আরও অনেক ছবি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৩ সাল।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক পুরস্কার ১৯৯২ সাল।

বাংলা চলচ্চিত্র উন্নয়নে সত্তর ও আশির দশকে একেরপর এক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন।

বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনের এই প্রবাদ পুরুষ আমাদের গর্ব সমস্ত বরেন্দ্রভূমির অহংকার।

লেখক, অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক (রাজু)।
গ্রন্থঃ বরেন্দ্রভূমির বরেণ্য ব্যক্তি।। পর্বঃ ১৭

সর্বশেষ খবর