Homeরাজনীতিবৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে পাবিপ্রবিতে সংবাদ সম্মেলন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে পাবিপ্রবিতে সংবাদ সম্মেলন

সম্প্রতি ২৯ জানুয়ারি (বুধবার) পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০৮ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১১ জন স্থান পেয়েছে। কমিটি প্রকাশের পরপরই উক্ত কমিটিতে ছাত্রলীগের পুণর্বাসনসহ আন্দোলনে নিস্ক্রিয় ব্যাক্তিদের নাম এসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ছাত্রলীগ কর্মী সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র কমিটি গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

দুপুর বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় পাবিপ্রবিতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করতে একটি পক্ষ স্বার্থান্বেষী মনোভাব নিয়ে কমিটি গঠন করেছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক কমিটি গঠনের নামে প্রকৃত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম তার নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজ করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কাউকে অবহিত করেননি। ফলে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

পাবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মিরাজুল ইসলাম বলেন,আন্দোলনের সময় যে কমিটি (বৈষম্য বিরোধী মূল কমিটি) গঠন করা হয়েছিল, তার অধিকাংশ সদস্যই ৩০ জানুয়ারি ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাননি। অথচ আন্দোলনকালীন সংগ্রামী নেতাদের সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা স্বচ্ছতার পরিপন্থী।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের সময় জানানো হয়েছিল যে, শুধুমাত্র পাবনা জেলার শিক্ষার্থীরাই কমিটিতে স্থান পাবেন। কিন্তু চূড়ান্ত কমিটিতে এ নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি, যা স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

নবগঠিত পাবনা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম আনোয়ার হোসেন জানান, “বিতর্কিত কমিটির খসড়া শিগগিরই কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এই প্রক্রিয়াতে কোন স্বচ্ছতা নেই, নিজ ছোটভাই ও ডিপার্টমেন্ট কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কমিটিতে কারা থাকবে বা থাকবে না— সে সিদ্ধান্ত পাবনা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম এককভাবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।”

আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী সানোয়ার সনি পাবনা জেলা সদস্য সচিব মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার খোজখবর না নেওয়ার অভিযোগ তুলে জানান, পাবিপ্রবিতে স্বতন্ত্র কমিটি ছাড়া অন্য কোনো কমিটি তারা মেনে নেবেন না। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থরক্ষায় এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রকৃত আন্দোলনকারী ও ছাত্রদের মতামতের ভিত্তিতে একটি স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবি আদায়ে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গেছে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পাবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম,সহ সমন্বয়ক ও নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, অন্যতম আন্দোলনকারী আবু-বক্কর সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৩০ এর অধিক শিক্ষার্থী।

সর্বশেষ খবর