বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে ভারতের রাজ্যসভায় আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যসভার এক অধিবেশনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ভারতের রাজ্যসভার সদস্য জন বৃত্তাস লিখিত প্রশ্নে জানতে চান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে কি না এবং এর পেছনে তাদের যুক্তি কী। জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং নিশ্চিত করেন, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে এবং দেশত্যাগের আগে তার বিরুদ্ধে কিছু ‘অপরাধের’ অভিযোগ এনেছে।
তবে ভারত সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ স্বীকার করা হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার বলছে, তারা শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত সরকার এ বিষয়ে সাবধানী অবস্থান নিয়েছে এবং বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। দুই দেশের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক রাজনীতির ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, ভারত সরকার শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়।