ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, জননেতা আনোয়ার হোসেন টিপু দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে শনিবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন। ত্যাগি এই রাজনীতিবীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রায়পুর উপজেলা বিএনপি যুবদল ছাত্রদল ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে শুক্রবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আনোয়ার হোসেন টিপু ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান, রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল ইসলাম মিঠুসহ দলের সিনিয়র নেতা ও সাবেক ছাত্র নেতারা।
ঢাকা মহানগর বিএনপির এই সাবেক নেতা স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে ছাত্রদলের যাত্রা শুরু করে ঢাকা কলেজের সভাপতি হন । পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতি হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট, শাহবাগ , কলাবাগান পল্টন ও রমনাসহ রাজধানীর কয়েকটি থানায় ২৭ থেকে ২৮টির অধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মিথ্যা মামলায় ৪ বার গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্ধী থাকেন। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর আবারও স্বৈরাচার সরকার ২০১৪ সালের শেষের মূল আন্দোলনে মিথ্যা হত্যা মামলায় ১ নম্বর আসামি দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন।
২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাসিত ১০ বছরে তিনি মালয়শিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর সর্বশেষ কাতার থেকে যুক্তরাজ্যর লন্ডন শহরে চলে যান। সেখান গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাহচর্য পেয়ে লন্ডন বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি দেশের থাকা আওয়ামী সরকারের রোষানলে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান তিনি। বিশেষ করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ও জেলে বন্দি থাকা নেতাকর্মীদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা নিয়ে পাশে থাকেন বলে দাবি করেন তিনি।
দেশে ফিরে আনোয়ার হোসেন টিপু বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অমানবিক নির্যাতন পরিবার ছাড়া দীর্ঘদিন লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছিল। গত ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারমুক্ত নিজ জন্মভূমিতে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এখন দেশে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে নির্বাসিত থাকাকালেও শেখ হাসিনার আক্রোশ থেকে আমি রেহাই পায়নি। গত ১০ বছরে একাধিকবার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট করে। পাশাপাশি পুলিশ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের জন্য ঢাকার বাসায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাসায় আমাকে না পেয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় আমার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।