নওগাঁর ধামইরহাটে পিকনিকের বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের বিহারিনগর মোড়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার পরিচিত ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী কামাল হোসেন (৪৫)। তিনি ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ মার্কেটে ফটোস্ট্যাট ও স্টেশনারির ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি উত্তর চকযদু গ্রামে হলেও দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার কারণে ধামইরহাটে বসবাস করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কামাল হোসেন প্রতিদিনের মতো মোটরসাইকেলে করে নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ধামইরহাট-পত্নীতলা আঞ্চলিক সড়কের বিহারিনগর মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা জয়পুরহাটগামী হানিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৫৫৯২) একটি পিকনিকের বাস তাকে ধাক্কা দেয়। দ্রুতগতিতে থাকা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়, এতে ঘটনাস্থলেই কামাল হোসেনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে ধামইরহাট থানার ওসি রাইসুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিহারিনগর মোড়টি দীর্ঘদিন ধরেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। সড়কের এই বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ গেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এখানে গতি রোধক বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা হয়, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। যদি দ্রুত গতি রোধক বসানো না হয়, তাহলে আরও প্রাণহানি ঘটতে পারে।”
নিহত কামাল হোসেনের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। তিনি এক স্ত্রী ও এক ছেলের জনক ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও ব্যবসায়ী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ধামইরহাট থানার ওসি রাইসুল ইসলাম বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, স্থানীয়রা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।