সৌদি আরবে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে আগামীকাল শনিবার (১ মার্চ) থেকে সিয়াম সাধনার মাস শুরু হতে যাচ্ছে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করেই রমজান মাসের গণনা নির্ধারিত হয়।
সৌদির সুদাইর ও তুমাইরসহ বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চাঁদ অনুসন্ধান করা হয়। যদিও তুমাইর এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সেখানে চাঁদ দেখা কঠিন হয়ে পড়ে, তবে সুদাইর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে আকাশ তুলনামূলক পরিষ্কার ছিল। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়।
সৌদিতে চাঁদ দেখার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ওমান এবং কুয়েতেও রমজান শুরুর ঘোষণা আসে। একইসঙ্গে আফ্রিকার কয়েকটি দেশ, যেমন তানজানিয়া ও ইথিওপিয়াতেও চাঁদ দেখা গেছে। ফলে এসব দেশেও শনিবার থেকে রোজা শুরু হবে।
অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রমজানের প্রথম দিন ঘোষণা করেছে। তবে মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইতে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সেখানে রমজান শুরু হবে ২ মার্চ থেকে।
বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবে। যদি বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়, তাহলে দেশেও রবিবার (৩ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হবে। অন্যথায় সোমবার (৪ মার্চ) থেকে রমজান গণনা শুরু হবে।
দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী ইতোমধ্যে সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বাজারে ইফতার সামগ্রী কেনাকাটায় ব্যস্ততা বেড়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের কথাও জানানো হয়েছে।
রমজান শুধু আত্মশুদ্ধির মাসই নয়, বরং এটি মুসলিমদের জন্য আত্মসংযম ও ইবাদতের অন্যতম সুযোগ। তাই দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ আগ্রহের সঙ্গে চাঁদ দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।