মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো উপায়ে ডেনমার্কের অধীনে থাকা গ্রিনল্যান্ড দখল করবে। তিনি দাবি করেন, এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) স্থানীয় সময় মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের গ্রিনল্যান্ড প্রয়োজন। আমরা এটি দখলের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কাজ করছি। আমি নিশ্চিত, আমরা এটি কোনো না কোনোভাবে অর্জন করতে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, গ্রিনল্যান্ডের জনগণ চাইলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বাগত জানাবে এবং তাদের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করবে।
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড, ১৯৭৯ সাল থেকে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। দ্বীপটি আর্কটিক ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এবং এতে প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই গ্রিনল্যান্ডের প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এর কৌশলগত অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দ্বীপটি ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ডেনমার্ক সরকার এই দ্বীপের ওপর সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।
গ্রিনল্যান্ডের জনগণের প্রতিক্রিয়াও একইরকম। জানুয়ারিতে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৮৫% মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিপক্ষে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়তে পারে।
বিশ্ব রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গ্রিনল্যান্ডের ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও খনিজ সম্পদের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে।