Homeজেলাশাজাহানপুরে অবৈধ মাটি ব্যবসা: ছোট পয়েন্টে মামলা, বড়গুলো বহাল তবিয়তে

শাজাহানপুরে অবৈধ মাটি ব্যবসা: ছোট পয়েন্টে মামলা, বড়গুলো বহাল তবিয়তে

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অনুমতি ছাড়া মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন নিয়মিত মামলা করলেও বড় মাটির পয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলতি বছরে ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে ৯টি মামলায় ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে উপজেলার সবচেয়ে বড় ৫টি মাটির পয়েন্ট আশেকপুর ও মাদলা ইউনিয়নে অব্যাহত রয়েছে।

শাজাহানপুর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে অনুমতি ছাড়া মাটি কাটার অভিযোগে গোহাইল, চেলো, কুন্দইশ, ক্ষূদ্র ফুলকোট, রামচন্দ্রপুর, দরিনন্দ, বিল কেশপাথারসহ বিভিন্ন গ্রামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গোহাইল ইউনিয়নের আতাইল গ্রামে মাটি কাটার মামলায় আসামি হয়েছেন মোস্তাফিজার রহমান প্রামানিক, এরফান আলী প্রামানিকসহ অজ্ঞাত তিনজন। একই ইউনিয়নের চেলো গ্রামে মামলায় আসামি হয়েছেন নরোত্তম চন্দ্র দেবনাথ, রনজিত চন্দ্র দেবনাথসহ আরও তিনজন।

আমরুল ইউনিয়নের কুন্দইশ গ্রামে মাটি কাটার মামলায় আসামি হয়েছেন মো. জাহিদ হোসেন প্রামানিকসহ অজ্ঞাত তিনজন। চোপিনগর ইউনিয়নের ক্ষূদ্র ফুলকোট গ্রামে আসামি হয়েছেন মো. মোজাম্মেল হক দেওয়ানসহ তিনজন। মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে মামলায় আসামি হয়েছেন মো. মোশারফ হোসেন মন্ডলসহ আরও তিনজন। একই ইউনিয়নের দরিনন্দ গ্রামে মামলায় আসামি হয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেনসহ তিনজন। চোপিনগর ইউনিয়নের বিল কেশপাথার গ্রামে মামলায় আসামি হয়েছেন মুকুল মিয়াসহ আরও তিনজন।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এসব মামলার বেশির ভাগই ছোট মাটির পয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে করা হয়েছে। অথচ আশেকপুর ও মাদলা ইউনিয়নের বড় পয়েন্টগুলো, যেখানে মাটি ব্যবসা এখনো চলছে, সেখানে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া ফকিরপাড়া, চকজোড়া ও পারতেখুর গ্রামে মাটির ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে।

জোড়া ফকিরপাড়া পয়েন্ট পরিচালনা করছেন উপজেলা তাঁতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জোব্বার সোহেল। তিনি বলেন, জমির মালিকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে মাটি কাটছি। কয়েকদিন হলো পয়েন্ট বন্ধ রেখেছি। তবে এই পয়েন্টের সঙ্গে আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সাকিদারের নামও শোনা যাচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার নাম করে কেউ কেউ মাটি কাটছে, এটা সঠিক নয়।

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম বলেন, মাটি কাটার মামলায় আসামিরা সহজেই জামিন পায়। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদলা ইউনিয়নের বলদীপালান গ্রামে মেহেদী হাসান রানা এবং মালিপাড়া এলাকায় জয়নালের ইটভাটার পাশেও মাটি কাটা হচ্ছে, তবে এখনো মামলা হয়নি। জানতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল নাইম বলেন, আমরা অনুমতি ছাড়া মাটি কাটার ঘটনায় নিয়মিত মামলা করছি। আশেকপুর ইউনিয়নের মাটির পয়েন্টগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর