বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদী থেকে অনুমোদনবিহীনভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. বিপ্লব প্রামাণিককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় শেরপুর উপজেলার বৃন্দাবনপাড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচলনা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন বিপ্লব প্রামাণিক (৪০)। তার বাড়ি উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে। কারাদণ্ড ঘোষণার পর আজ বুধবার দুপুরে তাকে থানা পুলিশের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রেজাউল করিমের নেতৃত্বে শেরপুর থানা পুলিশের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করতোয়া নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এছাড়া, নদীর মাঝ বরাবর ড্রাম ট্রাক চলাচলের জন্য অবৈধভাবে মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, যার ফলে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া, ব্রিজ ও রাস্তার পাশ্ববর্তী স্থানে মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে স্থাপনাগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে রাস্তার পাশে বারবার মাটি ধসে যাচ্ছে, যা যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই জনস্বার্থে অভিযানটি পরিচলনা করা হয়েছে।
এ সময় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটির তোলার খনন যন্ত্রের তিনটি ব্যাটারী বাজেয়াপ্ত করে শেরপুর পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রেজাউল করিম বলেন, “করতোয়া নদীর পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।“