Homeশিক্ষা-শিক্ষাঙ্গনইবিতে শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গায়েবানা জানাজা ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইবিতে শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গায়েবানা জানাজা ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মাগুরার নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজা পড়েছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের শিশু আছিয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের দাবি জানায়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন শিশুর প্রতি এমন পাশবিকতা শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো সমাজকেই কলঙ্কিত করে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। আমরা ন্যায়বিচারের দাবিতে একত্রিত হয়েছি এবং এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। নিরাপদ সমাজ গড়তে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী প্রায় ষোলো বছর যাবৎ পতিত স্বৈরাচার যে সিস্টেম চালু করেছে তার মাধ্যমে আমার প্রায় পঞ্চাশ হাজারের উপরে বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু তৎকালীন সরকার তার কোনো সুরাহা করেনি এবং কোনো বিচার নিশ্চিত করেনি। আমরা দেখেছি কিভাবে তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ঢাকার বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক সায়েম সোবহান আনভীর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল আমাদের বোন মুনিয়া। তখন যদি আমরা প্রতিবাদের ভাষা জারি করতে পারতাম, যদি আমরা বিচার নিশ্চিত করতে পারতাম, তৎকালীন সরকারের যদি স্বদিচ্ছা থাকতো, তাহলে আছিয়ার মতো আমাদের বোনদের এ পরিণতি হতো না।

তিনি আরোও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগের সময়ে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল তা থেকে যদি আমরা বের হতে না পারি তাহলে আমাদের জুলাই স্পিরিট ব্যহত হবে। ইন্টেরিম সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে পুরো বাংলাদেশকে বের করে নিয়ে আসা। আমরা আহ্বান রাখতে চাই যে, আছিয়া ধর্ষণে যারা অভিযুক্ত তাদেরকে যতদিন না শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে ততদিন আমরা মাঠ ছাড়বো না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো আপনারা সাতদিনের মধ্যে আছিয়া ধর্ষণকান্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০) কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় এক শিশু। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় এবং ৭ মার্চ রাতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটি আজ (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। শিশুটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সর্বশেষ খবর