লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের মাটি, মানুষ, সমাজ ও মানবতার কল্যাণে নিরবে নিভৃতে সব সময় কাজ করে চলেছেন অজোপাড়া গায়ের বাতিঘরের আলো ও আধুনিক কেরোয়ার উন্নয়নের রূপকার সাবেক ছাত্রনেতা শাহ আলম।
মানবতাপ্রেমী এ মানুষটি একজন শিক্ষানুরাগী, উত্তম সংগঠক ও নিবেদিত সমাজকর্মী হিসেবে ইতিমধ্যেই পুরো কেরোয়া ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও আলোচিত আলোকিত মানুষ, দল মত নির্বিশেষে সকল মহলে নিবেদিত, ভাল মানুষ হিসেবে খ্যাতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।
সমাজের অবহেলিতদের শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি, ধর্মীয়, রাজনীতিসহ সকল সামাজিক কর্মকান্ডে সব সময় নিজেকে জড়িত রেখেছেন। এলাকার শতাধিক মসজিদে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করছেন প্রতিনিয়ত। প্রায় দুই শতাধিক কাঁচা- সলিং সড়ক তিনি নিজ উদ্যোগে সংস্কার করেছেন। এছাড়াও তিনি বিগত ২০ বছরে প্রায় কয়েক শত ডিপকল, কালভার্ট, ব্রিজ, স্ট্রিট লাইট উপস্থাপনসহ নানান কাজে তিনি কেরোয়ার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।জাকাত ফান্ড থেকে করছেন প্রতিবছরই শত শত মানুষকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। এলাকার এতিমখানায় দিচ্ছেন প্রতিমাসে খাদ্যদ্রব্য ও পোশাক।
যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা ও সামাজিকতায় ভাল অবস্থানে থাকা এ উদারমনা মানুষটি কেরোয়া ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই তিনি ব্যবসা- সামাজিক সকল কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। রয়েছে তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসেজ শাহ আলম ব্রাদার্স। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে করে দিচ্ছেন বিভিন্ন মসজিদের অজুখানা ও টয়লেট।
রায়পুর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান পদে ভবিষ্যতে নির্বাচন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এই এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি তাই এলাকার জনগণ অবগত। রাজনৈতিক দল মত নির্বিশেষে সকলকেই আমি সহযোগিতা করেছি। এলাকার মানুষ যদি চায় যে আমি জনপ্রতিনিধির জন্য নির্বাচন করতে তাহলে সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে তবে এখন আপাতত এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট কিছু বাকি রয়েছে সেগুলো উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।
ইতিমধ্যেই তিনি নিজের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অসহায়-অস্বচ্ছল গৃহহীন অনেক মানুষকে ঘর করে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, অনেক দুস্থ মহিলাদের সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সামর্থহীন অনেক রোগীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, অস্বচ্ছল অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর ভর্তি ও আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সামর্থহীন অনেক রোগীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, অস্বচ্ছল অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর ভর্তি ও পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যা রায়পুরের ইতিহাসে বিরল।এলাকার চোর- ডাকাত থেকে জনগণকে স্বস্তি দিতে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন।
প্রতিভাবান ও মেধাবী মানুষ শাহ আলম এর সাথে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন- কেরোয়য় একটি মেডিকেল, কলেজ, কারিগরি প্রতিষ্ঠন গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪এর যোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, আমাদেরকে আরও সু সংগঠিত হয়ে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে অকৃপনভাবে, নিঃস্বার্থভাবে। নিজ উদ্যোগে প্রায় ৮৭ টি রাস্তা সিসি ও পাকা করুন করেছেন। প্রায় শতাধিক স্ট্রীট লাইট বসানো হয়েছে পুরো কেরোয়া উপজেলা।