বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান থেকে প্রাপ্ত চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা যে বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সেই বাংলাদেশে স্বৈরাচারের শাসনামলে মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত ছিল না।
ড. ইউনূস আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বের মাধ্যমে স্বৈরাচারের অত্যাচারের হাত থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের বর্বর হত্যাযজ্ঞের কথা স্মরণ করে বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকাসহ সারা দেশে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে হাজারো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা ও রাজারবাগসহ সারা দেশে ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা শহীদ হন। তিনি তাদের আত্মত্যাগের পথ ধরেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের কথা স্মরণ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “নতুন বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে,” এবং ২৫ মার্চের কালরাতে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি এই শোকাবহ দিনে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বাধীনতার চেতনা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে এগিয়ে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।