নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ শুরুর পর বাংলাদেশে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। এর আগে, অর্থ পরিশোধ বাকি থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিকভাবে কমে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মার্কি ব্লুমবার্গকে বলেন, “আমরা আদানিকে নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করছি এবং আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি।” তবে তিনি বকেয়া পরিশোধের পরিমাণ বা পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধের বিষয়টি প্রকাশ করেননি।
বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে, আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ, যা ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ছিল, তা বর্তমানে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আগামী ছয় মাসে এই ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে, গত নভেম্বরে একাধিক পেমেন্ট মিস হওয়ায় আদানি পাওয়ার তার ভারতের ঝাড়খন্ডের ১,৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছিল।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তারা আদানির বকেয়া পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে আসছে। তাদের পক্ষ থেকে এখন দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে আদানি পাওয়ার।
গত ডিসেম্বরে আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র জানিয়েছিল, তাদের ৯০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করতে হবে, তবে বিপিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেছিলেন, প্রকৃত পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।
বিদ্যুতের দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুতের মূল্য দুটি সূচকের গড় থেকে নির্ধারিত হয়েছিল। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ হওয়া বিদ্যুতের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
