রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গে আলোচিত হয়ে উঠেছেন মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলম। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়িয়ে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন মেঘনা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মেঘনা আলম রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন—এমন অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
তবে তালেবুর রহমান স্পষ্ট করে বলেন, “মেঘনা আলমকে অপহরণ করা হয়নি। তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন এবং তার আইনগত অধিকার রয়েছে।”
একই দিন আদালতের আদেশে তাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মেঘনার গ্রেপ্তারের আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিচয়ধারীরা তার বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করছে। ওই লাইভ চলছিল ১২ মিনিটের মতো, তবে এরপরই তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিওটি ডিলিট হয়ে যায়।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মেঘনা আলম মিস আর্থ বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। তিনি নারীদের আত্মনির্ভরশীল করতে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি বিষয়ে কাজ করছিলেন।