ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাইমুল হাসানকে উত্তেজিত জনতা ও রোগীর স্বজনরা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাকসুদুর রহমান (৪৫) পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুপুরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বজনদের অভিযোগ, জরুরি অবস্থায়ও দায়িত্বে থাকা ডা. নাইমুল হাসান সময়মতো চিকিৎসা দেননি, যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে মাকসুদের মৃত্যু হয়।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালে ভিড় করে নিহতের স্বজন ও অন্যান্য রোগী। তারা চিকিৎসকের অবহেলার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে, তারা চিকিৎসককে মারধর করে।
ঘটনার খবর পেয়ে ভোলা মডেল থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাসনাইন পারভেজ নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডাক্তারকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
ওসি জানান, “চিকিৎসায় দেরির কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে—এমন অভিযোগে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।”
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, “ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি এবং যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিচ্ছি।”