বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে ঘিরে সম্প্রতি নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিএনপির ক্রীড়া-বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক এক বক্তব্যে সাকিবের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।
রাজধানীর এক রাজনৈতিক সভায় আমিনুল বলেন, “সাকিব গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নিজের সুবিধার জন্য তিনি অবৈধ সংসদে গিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের একজন খেলোয়াড়ের বিচার দেশের মাটিতেই হবে, ইনশাআল্লাহ।”
তার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। অনেকে একে রাজনৈতিক কৌশল বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন—একজন ক্রীড়াবিদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ কতটা গ্রহণযোগ্য। সাকিবের মতো আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়ের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ততা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমূর্তিকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা।
সাকিব ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে গত আগস্ট থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, যার ফলে তার অনুপস্থিতি নিয়েও সমালোচনার ঝড় বইছে।
অবশ্য, সাকিবের ঘনিষ্ঠ মহল কিংবা তিনি নিজে এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনেকে সামাজিক মাধ্যমে আমিনুলের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাদের মতে, একজন জাতীয় গৌরবের খেলোয়াড়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টার্গেট করা অনভিপ্রেত ও অশালীন।