Homeআন্তর্জাতিকহার্ভার্ডের ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার আটকে দিলেন ট্রাম্প

হার্ভার্ডের ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার আটকে দিলেন ট্রাম্প

নীতিমালা পরিবর্তন না করায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল আটকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু দাবি সোমবার (১৪ এপ্রিল) প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

হার্ভার্ডের এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে।

হোয়াইট হাউস ও প্রশাসনিক দফতরে আমূল পরিবর্তনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় পরিবর্তন আনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পরিবর্তিত নীতিমালার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তিনি।

এরমধ্যে রয়েছে আন্দোলনে মাস্ক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে, শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের ক্ষমতায় লাগাম টানার মতো বেশ কিছু নির্দেশনা। রয়েছে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বৈচিত্র্য কমানোর নির্দেশও। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এড়াতে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

আর তাতেই চটেছেন ট্রাম্প। বন্ধ করে দিয়েছেন ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এমন আশঙ্কা থেকেই শুক্রবার তহবিল বন্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন তারা।

গত ১৮ মাস ধরে গাজা যুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ হয়। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করে ট্রাম্প প্রশাসন।

এই অভিযোগে গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের ৯ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল চুক্তি ও অনুদান পর্যালোচনা করার কথা বলেছিল। এখন হার্ভার্ডের বিপুল অর্থ ফেডারেল তহবিল স্থগিত করার কথা জানাল ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে, মার্কিন শুল্ক পরিস্থিতি নিয়ে যেন কানামাছি খেলায় মেতেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের ওপর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক প্রত্যাহারের পর এবার তিনি বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি, যেকোনো মুহূর্তে স্মার্টফোনের ওপর আবারও শুল্ক আরোপ হতে পারে।

তবে তা একটি ভিন্ন খাতে অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে। প্রযুক্তি খাতের পরিবর্তে স্মার্টফোনকে সেমিকন্ডাক্টর খাতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছেন ট্রাম্প বলে জানান হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা।

একইসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওষুধ খাতেও বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রিপাবলিকান দলের তহবিল সংগ্রহ উপলক্ষে হওয়া এক নৈশভোজেও এমন পূর্বাভাস দেন ট্রাম্প। বলেন, ওষুধ খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাবলম্বী করতে চান তিনি। তার এই নতুন শুল্কে ভারত ও চীনের মতো ওষুধ রফতানিকারক দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

সর্বশেষ খবর