আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি ছাড় নিয়ে উদ্ভূত জটিলতা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, “আমাদের কিছু নীতিগত মতপার্থক্য রয়েছে, তবে আলোচনার মাধ্যমে সে সব দূর করা সম্ভব।”
রোববার (২০ এপ্রিল) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।
গভর্নর বলেন, “গত আট মাসে ব্যাংক খাতে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। রিজার্ভ চুরি, অর্থপাচার এবং আর্থিক খাত সংস্কারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই সম্পদ যত বেশি উদ্ধার করতে পারব, আমাদের অবস্থান তত শক্তিশালী হবে।”
তিনি প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যারা বিদেশে বসবাস করছেন, তারা অনেক সময় জানেন কে কোথায় সম্পদ কিনেছে—যা ঢাকা থেকে জানা সম্ভব নয়। “এই তথ্য যদি আপনারা আমাদের সরবরাহ করেন, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারব,” বলেন গভর্নর।
তিনি আরও জানান, নিউইয়র্কে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চলমান মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সক্রিয়ভাবে আইনি লড়াই চালানো হচ্ছে। মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায়ে রয়েছে এবং ব্যাংকের সুনাম পুনরুদ্ধারে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
এ সময় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈদেশিক বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রাখেন, যার উত্তর দেন গভর্নর নিজে।
গভর্নরের এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রবাসীদের সহায়তা নিয়েও দেশের আর্থিক খাতের দুর্বল জায়গাগুলো শক্ত করতে চায়।