সাভার উপজেলার পৌর শহরের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কটি যেন বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের দখলে।
ট্রাফিকে নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত অটোরিকশা ও ইজিবাইক মহাসড়কে চলাচল করে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত গাড়ি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকায় প্রবেশ করে। কিন্তু অটোরিকশা ও ইজিবাইকের কারণে মহাসড়কটিতে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হয়।
মহাসড়কটির দুই পাশে সড়ক বৃদ্ধি করে গাইড ওয়াল দেওয়া হলেও মূল সড়কের চারলেনে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে নিষিদ্ধ এসকল অবৈধ যানবাহন। আর মূল সড়কের দুই পাশে যেখানে সড়ক বৃদ্ধি করে করা হয়েছে সার্ভিস লেন। এই সার্ভিস লেন দিয়ে উল্টোপথে অটোরিকশা ও ইজিবাইক যাতায়াত করে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি করে।
উপজেলার নবীনগর, ই-পিজেড সহ অধিকাংশ স্থানে একই চিত্র চোখে পড়ে। সেখানে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এছাড়াও উল্টো পথে চলাচল করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। যা মহাসড়কের চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে জোরালো কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ এসব যানবাহন।
স্থানীয়রা জানান, আমরা আশা করছিলাম মহসড়কের দুই পাশে রাস্তা বৃদ্ধি করে যানজট থেকে মুক্তি পাবো। কিন্ত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের কারণে আমাদের কষ্টের শেষ নাই।
স্থানীয়দের দাবি পুলিশ চাইলে যেকোনো মুহূর্তে সাভারের সড়ক- মহাসড়কগুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে। এতে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ ভোগান্তিও থাকবেনা। পুলিশ প্রশাসন কঠোর না হওয়ায় এসব যানবাহন উল্টো পথে চলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে।
সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সাওগাতুল আলম বলেন, আমরা অটোরিকশা ও ইজিবাইক গুলো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচল করার জন্য ইজিবাইকের কোনো অনুমোদন নেই। পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিযান চালানোর পরেও তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে। আমরা খুব স্বল্প সময়ের মাধ্যমে এবিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিব।