গণঅভ্যুত্থান বলতে আসলে কি বুঝায়, আমাদের সমাজে এটার পরিষ্কার ধারনা নেই। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সামনের সাড়িতে অনেক মেয়ে ছিলো, কিন্তু তারা হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলো? তারা আর রাজপথে নেই। কারণ তারা রাজপথে আর নিরাপদবোধ করছে না। আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে রাষ্ট্র আর সরকারের পার্থক্য স্পষ্ট না। ফলে দেশ সামনের দিকে আগাতে পারছে না।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ এর আয়োজনে ‘অভ্যুত্থান: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও কবি ফরহাদ মজহার।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ এর সংবিধান আমরা বাতিল করতে চেয়েছিলাম। কারণ, ওই সংবিধান সাধারণ মানুষ প্রণয়ন করেনি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শক্তি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যাবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এক হয়ে লড়েছিল। কিন্তু বর্তমান ইন্টেরিম সরকার আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র করতে দেয়নি। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য জুলাই ঘোষণাপত্র ও নতুন গঠণতন্ত্র চাই।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আমাদের প্রধান আলোচক ফরহাদ মজহারের লেখা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আবার অনেক সময় কিছু বুঝতেও পারিনি। আমরা ভাষা নিয়ে আলোচনা শুনলাম এবং সেখান থেকে কিছু কথা হলো, আপনি কী বলছেন আর মানুষ সেটার কী অর্থ করে তা নির্ভর করে যে শুনছে সেই মানুষের ওপর। তাই এ বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা সমস্যার বিষয়ও বটে। তাই আমাদের বলতেও শিখতে হবে এবং শুনতেও শিখতে হবে। এবং এসবকিছুর মুলে আছে শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া কেউ বলতেও শিখবে না শুনতেও শিখবে না।
এ সময় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ।