এক সময় ছোট ও বড় পর্দায় সরব উপস্থিতি ছিল পিয়া বিপাশার। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আলোচনায় আসা এই অভিনেত্রী এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে প্রবাসজীবনে যুক্ত রয়েছেন তিনি। দেশ ছাড়ার পেছনে ছিল অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও পেশাগত হতাশা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পিয়া জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে নতুন জীবন শুরু করেন তিনি। সেখানেই পরিচয় ও সম্পর্ক হয় একজন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে, যিনি বর্তমানে তার জীবনসঙ্গী। চলতি বছরের শেষের দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা।
বাংলাদেশে কাজ করতে না পারার হতাশা প্রকাশ করে পিয়া বলেন, “লবিং ছাড়া কাজ হতো না। একটা ভালো সিনেমার কথা ছিল, সেটাও হয়নি। এরপর আর কাজ করার ইচ্ছা জাগেনি।” তার ভাষায়, অভিনয়জীবনের উদ্দেশ্য ছিল মূলত অর্থ উপার্জন, যা বাস্তবে সম্ভব হচ্ছিল না বলেই সিদ্ধান্ত নেন পেশা ও দেশ পরিবর্তনের।
তিনি বলেন, “আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকার জন্য। কিন্তু বুঝে গেলাম, আমাকে দিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব না। তাই অন্য পথ খুঁজে নিই।” বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশন করে আয় করছেন হাজার হাজার ডলার, যা তার জীবিকা ও প্রতিষ্ঠার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বর্তমানে তার আর কোনো স্বপ্ন নেই বলেও জানান পিয়া বিপাশা। “সব পেয়েছি—টাকাপয়সা, ভালোবাসা, প্রতিষ্ঠা। এখন আর টাকা রোজগার করতে না পারলেও চলে যায়। বরং আয় যা করি, তা খরচ করার সময়ই পাই না,” বলেন তিনি।
পিয়া বিপাশা অভিনয় করেছেন নাটক, মিউজিক ভিডিও ও সিনেমায়। ‘দ্বিতীয় মাত্রা’ দিয়ে শুরু, আর ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক। ‘রাজনীতি’ ছবিতে অভিনয়ের কথা থাকলেও সেটা হয়নি। আজ সেই সময়কে পেছনে ফেলে, নতুন দেশে নতুন পরিচয়ে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব এক পৃথিবী।
