নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের তরুণদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনূস বলেন, “তরুণদের যদি রাজনীতিতে উৎসাহ দেওয়া না হয়, তারা কখনোই নীতিনির্ধারণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাদের সম্পৃক্ততা অত্যাবশ্যক।”
সাক্ষাৎকালে নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশ সফরে তারা অনেক তরুণের সঙ্গে কথা বলেছেন যারা জীবনে কখনও ভোট দিতে পারেননি। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ইউনূস বলেন, “গত ১৫ বছরে জনগণ প্রকৃত অর্থে ভোটের সুযোগ পায়নি। এখনকার সরকারের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনব্যবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার আনা।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এখন এমন এক অবস্থা থেকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জের মুখে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সেই ধ্বংসাবশেষ থেকে নতুন একটি কাঠামো দাঁড় করানোর পথে আছি।”
প্রতিনিধি দলে ছিলেন সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ লীগের নাজমা আহমেদ, ওয়ার্কার্স ইয়ুথ লীগের ফাওজি ওয়ারসাম, কনজারভেটিভ পার্টির ওলা সভেনেবি, গ্রিন পার্টির টোবিয়াস স্টোকল্যান্ডসহ বিভিন্ন দলের সাতজন তরুণ নেতা। তারা বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ, ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক করণীয় এবং ভোটাধিকার প্রসঙ্গে মতামত দেন।
ইউনূস তরুণ প্রতিনিধিদের কাছ থেকে তাদের নিজ দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং তরুণদের সম্পৃক্ততার হার সম্পর্কেও জানতে চান।
সাক্ষাতের সমাপ্তিতে উভয়পক্ষই তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রসারে যৌথ উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
