ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট ফেডারেশনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানান, সীমান্তঘেঁষা জেলার পুলিশ সুপারদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইজিপি বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, কোনো উগ্রপন্থী বা সন্ত্রাসী উপাদান যেন সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে না পারে—এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।”
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও পিবিআই-এর অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে, চলমান সংঘাতে ইতিমধ্যে উভয় পক্ষেই প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতের হামলায় তাদের ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় ভারতশাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তান আরও দাবি করেছে, ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান তারা ভূপাতিত করেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় দেশকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “বাংলাদেশ সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিশ্বাস করে, উত্তেজনা প্রশমনেই এই অঞ্চলের জনগণের মঙ্গল নিহিত।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ভারত ও পাকিস্তানকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রভাব সরাসরি বাংলাদেশে না পড়লেও, সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতা ও নজরদারি জরুরি। আইজিপির নির্দেশনায় সেই প্রস্তুতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।