Homeজাতীয়সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ইমিগ্রেশনের ব্যাখ্যা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ইমিগ্রেশনের ব্যাখ্যা

থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৭ মে দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। কারণ, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের মামলায় তার নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলায় আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নামও অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ ও ওবায়দুল কাদের। অথচ, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে তিনি ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশে গেলেন—তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, আবদুল হামিদ রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিনি দেশত্যাগের অনুমতি পান। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ট্রাভেল ব্যান বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি। তারা এটিও জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই থাইল্যান্ড গেছেন।

উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। সাবেক এই রাজনৈতিক নেতা দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

তবে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক মামলার আসামি এমন একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি যদি অবাধে বিদেশে চলে যেতে পারেন, তাহলে দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর জনসাধারণের আস্থা আরও ক্ষুণ্ন হবে। প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—তাকে যেতে দেওয়া আইনগত বৈধতা পেল কীভাবে?

সর্বশেষ খবর