বাংলাদেশ বর্তমানে গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “অনেকে মনে করছেন আমরা স্বস্তিতে আছি, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। একজন রাজনীতিক হিসেবে আমি বলতে পারি, আমরা এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছি।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বিএনপি বিগত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করে আসছে। এখনো আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র পাইনি। প্রতিনিয়ত নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও তথ্যদ্বন্দ্ব বাড়ছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা কখনোই সংস্কার বিরোধী নই। ২০২২ সালে আমরাই রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ সেই রূপরেখা উপেক্ষিত হচ্ছে।”
জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা অবশ্যই ক্ষমতা চাই—জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে। কিন্তু এক দশক ধরে যদি সংস্কার চলতে থাকে, তাহলে কি আমলাতান্ত্রিক শাসনেই দেশ চলবে?”
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। অর্থনীতি স্থবির, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নয়, ব্যাংক খাত দুর্বল। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতেও চরম অব্যবস্থাপনা চলছে। জনগণের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার বসানো হলেও, তাদের অনেক পদক্ষেপ এখন জনমতের বিপরীতে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “মানবিক করিডোর খোলা হয়েছে, অথচ জনগণের কিংবা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনোরকম পরামর্শ করা হয়নি। এভাবে চললে জনগণের আস্থা হারাবে প্রশাসন।”
বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “আজ প্রমাণ হয়ে গেছে, বিএনপিই দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি। দেশ নিরাপদ থাকবে আমাদের হাতেই।”