বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেছেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে ইন্টেরিমের যেমন স্বদিচ্ছার অভাব আছে। ঠিক তেমনি একটি দলেরও রয়েছে।”
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরোও বলেন, “জুলাই পেরিয়ে গেছে নয়মাস হলেও ইন্টেরিম এখন পর্যন্ত খুনী হাসিনা এবং গণহত্যা চালানো আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যাবস্থা করতে পারেনাই। ইন্টেরিমের যেমন স্বদিচ্ছার অভাব আছে। ঠিক তেমনি জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সহযোদ্ধা শক্তি ছিলেন যারা তাদের একটি দলেরও অবদান রয়েছে। অনেকেই ইন্টেরিমের বৈধতা কোথায় বলে কেউ কেউ প্রশ্ন তোলে; তাদেরকে বলে দিতে চাই- ১৬ শ শহিদদের রক্তই ইন্টেরিমের বৈধতা। তাই ইন্টেরিমের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার দুঃসাহস করবেন না। জুলাই অভ্যুত্থানের মূল আকাংক্ষা জুলাই ঘোষণাপত্র যা আমরা এখনও আদায় করে নিতে পারিনি। এটা বিপ্লবীদের ব্যার্থতা। তবে আশার বাণী হচ্ছে বিপ্লবীরা এখনও রাজপথ ছাড়ে নাই। তারই প্রতিফলন গতকাল যমুনায় আপনারা দেখতে পেয়েছেন। সেখানে জুলাই বিপ্লবীরা এক হয়েছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে।
মনে রাখবেন জুলাইতেই আমরা আমাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের হারানোর আর কিছু নাই।প্রয়োজন হলে আবার রাস্তায় নামতে জুলাই বিপ্লবীরা ভয় পাবে না। আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আমাদের যে আন্দোলন সেটা আমরা আগামী দিনেও চালিয়ে যাবো। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজ যে ইন্টেরিম গভর্মেন্ট বলেছে জাতিসংঘের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। কিন্তু আমরা তো এই বাঙলায় জাতিসংঘের সাথে পরামর্শ করে আওয়ামী লীগকে ভারতে পালাতে বাধ্য করিনি। এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কেন এত অজুহাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলে দিতে চাই- আপনারা দ্রুত আওয়ামী দোসরদের বিচার করুন। নইলে শিক্ষার্থীরাই বিচার করতে বাধ্য হবেন।’