সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে আবারও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—উভয় বাজারেই সূচকের পতন ও লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা ও আস্থাহীনতা এর পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.২০ পয়েন্ট কমে ৪,৭৮৫.১১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। একদিন আগেও যেসব শেয়ারে মুনাফার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, সেগুলোতেও আজ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সর্বমোট ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে মাত্র ১১৪টির দাম বেড়েছে, ২০০টির কমেছে এবং ৭৭টি অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা—যা চলতি বছরের অন্যতম সর্বনিম্ন লেনদেনের রেকর্ড।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সূচক পতনের ছাপ স্পষ্ট। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪.৫৯ পয়েন্ট কমে ১৩,৪০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৬ লাখ টাকার, যেখানে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, ৮টির কমেছে এবং ৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থনীতি ও নীতিগত স্থিতিশীলতার অভাব এবং কোম্পানির মৌলিক দুর্বলতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটে ফেলছে। তাছাড়া আসন্ন বাজেট ও আর্থিক খাত নিয়ে নানা জল্পনার প্রভাবও বাজারে পড়ছে।
সবমিলিয়ে, বৃহস্পতিবারের এই পারফরম্যান্স পুঁজিবাজারে মন্দাভাবকে আরও জোরদার করেছে। আগামী সপ্তাহে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর। বিনিয়োগকারীদের এখন খুবই সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।