পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে গরু চোরাচালান ও কোরবানির চামড়া পাচার প্রতিরোধে কড়া অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তবর্তী এলাকার চোরাচালান প্রতিরোধে ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে টহল, বসানো হয়েছে চেকপোস্ট এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা বরাবর ভারতীয় গরু চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা বাড়ে ঈদের সময়গুলোতে। পাশাপাশি কোরবানির পর মূল্যবান চামড়া ভারতে পাচারের আশঙ্কাও থেকেই যায়। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে চোরাকারবারিরা সক্রিয় হয়—তাদের দমনেই আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, সন্দেহভাজন চলাচলের ওপর নজরদারি এবং চোরাচালানের রুটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”
বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভাও করা হচ্ছে যাতে কোনো ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বা দালালের সংস্পর্শে কেউ না পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাও বিজিবির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কোরবানির পশু চামড়া পাচার রোধেও নেয়া হয়েছে আলাদা উদ্যোগ। বিজিবি সূত্র জানায়, চামড়াবাহী যানবাহন যাচাই-বাছাই করে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিজিবির নজরদারিতে চামড়া পরিবহন করা হবে যাতে কোনোভাবেই দেশের সম্পদ পাচার না হয়।
সীমান্ত এলাকায় সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির সমন্বয়ও জোরদার করা হয়েছে।