বুধবার, মে ৩১, ২০২৩

পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: পুলিশের ৫ মামলায় ৮১ আসামী, অজ্ঞাত সহস্রাধিক

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

রোনালদোর সমান বেতনে সৌদি ক্লাবে যাবেন বেনজেমা!

ক্লাব ফুটবলের তীর্থস্থান হিসেবে ইউরোপ মহাদেশকেই বিবেচনা করা হয়।...

ভক্তদের ভালোবাসায় আরও এক মৌসুম খেলতে চান ধোনি

উত্তেজনায় ঠাসা আরেকটি আইপিএল আসর শেষ হলো। নাটকীয় ম্যাচে...

বিশ্বকাপকে টেক্কা দেওয়া আইপিএল শেষে কার পকেটে গেল কত টাকা

রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের মধ্য দিয়ে নামল আইপিএলের ষোলোতম আসরের পর্দা।...

এক সমুচার দাম ৪০০ টাকা!

সমুচা খেতে কে না ভালোবাসে! সমুচা পছন্দ করে না...

তারেক-জোবাইদার মামলায় সাক্ষ্য নিয়ে আদালতে হট্টগোল

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)...
সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়।।
 
পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় মোট ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ এক হাজারেরও অধিক অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
 
রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা। পুলিশ জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর বল প্রয়োগ, ককটেল বিস্ফোরন, সড়ক অবরোধ এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় করা এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পঞ্চগড় সদরের একজন, দেবীগঞ্জ উপজেলার দুইজন, বোদা উপজেলার একজন, আটোয়ারীর দুইজন এবং তেঁতুলিয়ার দুইজন। এদের মধ্যে তেঁতুলিয়া উপজেলার দুইজন জামায়াতের সঙ্গে জড়িত এবং বাকীরা বিএনপির।
 
পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, গতকাল বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত গণমিছিলের কর্মসূচি ছিলো। আমরা বিএনপির লোকজনকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে অনুরোধ করি। আমরা নিরাপত্তার কারণে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করি। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি না করে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে মিছিল করে এবং পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে তারা ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কোন প্রকার উস্কানি ছাড়াই তারা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
 
পুলিশ সুপার আরো বলেন, যেহেতু পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং রাস্তায় ভাঙচুরের চেষ্টা হচ্ছিল তাই স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ টিয়ারশেল এবং শর্টগানের গুলি করে। নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ ঘটনায় যারা মিছিল করেছেন তাদের ২০-২৫ জন এবং পুলিশের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশি কাজে বাধা দেয়া এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করায় আমরা মামলা করেছি। এই মামলায় কোন সাধারণ মানুষকে হয়রানী করা হবেনা বলেও জানান তিনি।
 
এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নেয় পঞ্চগড় জেলা বিএনপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে জেলা বিএনপির অফিসে। পরে দলটি গণ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এঘটনায় গণমিছিলে আসা আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হন বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
 
বিএনপির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, বিএনপির কর্মসূচীতে পুলিশের মারপিটে কোন প্রাণহানি হয়নি। আব্দুর রশিদ আরেফিন হৃদ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে তাকে ইসিজি করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জেনেছি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়া আমরা তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেও জেনেছি তিনি আগে থেকেই বাইপাসের রোগী ছিলেন, উনার তিনটা বাইপাস অপারেশন করা ছিলো। মূলত এই ধরণের কর্মসূচিতে তার আসা উচিত হয়নি।
 
আব্দুর রশিদ আরেফিনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেল ৪টায় তার নিজ এলাকা ময়দানদীঘিতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here