বৃহস্পতিবার, জুন ১, ২০২৩

বিশ্বকাপে রোনালদো রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

আর্জেন্টিনার পর জিতে চলেছে ম্যারাডোনার ক্লাবগুলোও

২০২০ সালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন ফুটবল...

আর্জেন্টিনায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে বর্ণবাদের শিকার ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

দিন কয়েক আগেই ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে...

মার্টিনেজকে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বিকাশ

বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বিকাশ।...

ধোনির কাছে হারায় আফসোস নেই পান্ডিয়ার

আইপিএল ইতিহাসে সম্ভবত সেরা ফাইনাল উপভোগ করেছে দর্শকরা। শেষ...

চীনে তরুণদের বেকারত্বে রেকর্ড

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে বেকারত্ব বেড়ে গেছে।...

নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে পর্তুগিজ কোচের প্রথম পছন্দ ছিলেন না সিআরসেভেন। শেষ দিকের ম্যাচগুলোতে মাঠের চেয়ে তাকে বেশি সময় কাটাতে হয়েছিল বেঞ্চে।

এদিকে, কাতার বিশ্বকাপে রোনালদো রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। আনাদোলু এজেন্সির বরাতে জানা গেছে, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে রোনালদো প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা রোনালদোকে নষ্ট করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, তারা তার ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।’

রোনালদোর মতো বিশ্বসেরা ফুটবলারকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা নিয়ে এরদোয়ানের মন্তব্য, ‘ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিট বাকি থাকতে রোনালদোর মতো একজন ফুটবলারকে মাঠে পাঠানো হয়েছে। যা তার মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং তার শক্তি কেড়ে নিয়েছে।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও যোগ করেন, ‘রোনালদো এমন একজন যিনি নিপীড়িত ফিলিস্তিনের সমর্থন জানিয়েছিলেন।’

বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে রোনালদোকে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের আগেই তুলে নেয়া হয়। এছাড়া সুপার সিক্সটিনের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাকে প্রথম একাদশেই রাখা হয়নি। ৫ বারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী তারকাকে নামানো হয় ম্যাচের ৭০ তম মিনিটে। আর মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টারফাইনালে রোনালদোকে নামানো হয় ৫২তম মিনিটে। মরক্কোর বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায় পর্তুগালের।

নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে কোয়ার্টারেই ছিটকে যাওয়ার পর আবেগঘন বার্তা দিয়েছিলেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘পর্তুগালের জন্য একটা বিশ্বকাপ জেতা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ও উচ্চাকাঙ্খী স্বপ্ন ছিল। সৌভাগ্যবশত আমি আন্তর্জাতিক মানের বেশকিছু শিরোপা জিতেছি, পর্তুগালের হয়েও কিন্তু আমাদের দেশের নাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটা আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল।’

আরও  যোগ করেন, ‘আমি এটার জন্য লড়েছি। আমি এই স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠিন লড়াই করেছি। ১৬ বছর ধরে পাঁচটি বিশ্বকাপে আমি গোল করেছি, সবসময় পাশে সেরা খেলোয়াড় ও লাখ লাখ পর্তুগিজ সমর্থক পেয়েছি, যাদের জন্য আমি আমার সর্বস্ব দিয়েছি। আমি মাঠে সব রেখে এসেছি। আমি কখনও লড়াই থেকে মুখ সরিয়ে নেইনি এবং কখনও স্বপ্ন দেখা বাদ দেইনি।’

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here