শুক্রবার, জুন ২, ২০২৩

লঁসের বিপক্ষে পাত্তাই পেল না পিএসজি

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

আর্জেন্টিনার পর জিতে চলেছে ম্যারাডোনার ক্লাবগুলোও

২০২০ সালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন ফুটবল...

আর্জেন্টিনায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে বর্ণবাদের শিকার ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

দিন কয়েক আগেই ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে...

মার্টিনেজকে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বিকাশ

বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বিকাশ।...

ধোনির কাছে হারায় আফসোস নেই পান্ডিয়ার

আইপিএল ইতিহাসে সম্ভবত সেরা ফাইনাল উপভোগ করেছে দর্শকরা। শেষ...

চীনে তরুণদের বেকারত্বে রেকর্ড

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে বেকারত্ব বেড়ে গেছে।...

লিওনেল মেসি ও নেইমারের অনুপস্থিতিতে লঁসের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি পিএসজি। লিগ ওয়ানের ১৭তম ম্যাচে এসে তারা পেয়েছে প্রথম হারের স্বাদ।

রোববার (১ জানুয়ারি) প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। লঁসের হয়ে জয়সূচক গোল তিনটি করেন ফ্রাঙ্কোস্কি, লোইস ওপেন্দা ও অ্যালেক্সিস মোরিস। পিএসজির পক্ষে একটি গোল করেন হুগো একিতিকে।

বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা মেসি এখনও যোগ দেননি পিএসজি শিবিরে। অন্যদিকে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় এ ম্যাচে ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারও। দুই বিশ্বসেরার অনুপস্থিতিতে খুব একটা দ্যুতি ছড়াতে পারেননি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। আশরাফ হাকিমি, সার্জিও রামোস, মারকুইনস, জিয়ানলুইজি দোনারুম্মাদের ভিড়েও লঁসের বিপক্ষে ‍অসহায় আত্মসমর্পন ছিল পিএসজির।

ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটেই প্রথম গোল হজম করে প্যারিসিয়ানরা। বাইলাইনের কাছাকাছি জায়গা থেকে মাসাদিয়ো হায়দারার নেয়া জোরালো শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন দোনারুম্মা। তবে তিনি বল গ্লাভসবন্দি করতে ব্যর্থ হন। জালের সামনে বল পেয়ে দলকে লিড এনে দেন ফ্রাঙ্কোসকি।

সমতায় ফিরতে অবশ্য খুব বেশি দেরি করেনি পিএসজি। তিন মিনিট পর নর্দি মুকিয়েলের বাড়ানো পাস লঁস গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বার ঠিক সামনে থেকে কেড়ে নিয়ে জালে জড়ান একিতিকে। ১৬তম মিনিটে লিড পেতে পারতো পিএসজি। তবে এমবাপ্পের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন সাম্বা। ফিরতি বলে একিতিকের শট থাকেনি লক্ষ্যে।

১২ মিনিট পর লঁসকে লিড এনে দেন ওপেন্দা। সেকো ফোফানার লম্বা পাস প্রতিপক্ষের ডি বক্সে বল পেয়ে যান ওপেন্দা। মার্কুইনসের বাধা কাটিয়ে এ বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড পরাস্ত করেন দোনারুম্মাকে।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও আর সমতায় ফিরতে পারেননি এমবাপ্পেরা। বরং যোগ করা সময়ে বাজে ফাউলের শিকার হন ফরাসি তারকা। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার বদলে মাঠে নেমেই ফের গোল হজম করে বসে প্যারিসিয়ানরা। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ওপেন্দার পাস পিএসজির ডি-বক্সে দখলে নিয়ে মোরিস জোরালো শটে জালে জড়ান।

ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে এমবাপ্পেরা। তবে তাদের কোনো সুযোগই দেননি লঁসের গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী সাম্বা। ৫৪ মিনিটে আশরাফ হামিকি, ৬১ মিনিটে এমবাপ্পে এবং ৭৫ মিনিটে তিনি হতাশ করেন পাবলো সারাবিয়াকে। বাকি সময়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পিএসজি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

এর আগে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট ধরে হাততালি দিয়ে শুরু হয় মাঠের লড়াই।

১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লঁস। 

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here