বৃহস্পতিবার, জুন ১, ২০২৩

রফতানি আয়ে তুরস্কের রেকর্ড

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

আর্জেন্টিনার পর জিতে চলেছে ম্যারাডোনার ক্লাবগুলোও

২০২০ সালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন ফুটবল...

আর্জেন্টিনায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে বর্ণবাদের শিকার ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

দিন কয়েক আগেই ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে...

মার্টিনেজকে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বিকাশ

বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বিকাশ।...

ধোনির কাছে হারায় আফসোস নেই পান্ডিয়ার

আইপিএল ইতিহাসে সম্ভবত সেরা ফাইনাল উপভোগ করেছে দর্শকরা। শেষ...

চীনে তরুণদের বেকারত্বে রেকর্ড

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে বেকারত্ব বেড়ে গেছে।...

বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও গত বছর রফতানি আয়ে রেকর্ড গড়েছে তুরস্ক। ২০২২ সালে দেশটির রফতানি বেড়েছে ১২.৯ শতাংশ। আর মোট রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২৫৪.২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। সোমবার (২ জানুয়ারি) এক ভাষণে এসব তথ্য জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। খবর হুরিয়াত ডেইলি নিউজ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতি শক্তিশালী করতে রফতানি আয় বৃদ্ধি ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে জোর দিয়েছে তুরস্ক। গত মাসেই কৃষ্ণ সাগরে আরও ৫৮ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ আবিষ্কারের ঘোষণা দেন এরদোগান। জানান, মজুদের পরিমাণ বেড়েছে অন্য একটি গ্যাসক্ষেত্রেও। এ নিয়ে কৃষ্ণ সাগরে দেশটির মোট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার (বিসিএম)।

ভূমধ্যসাগরে প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজে আরও অনুসন্ধান তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। তবে বিরোধপূর্ণ পানিসীমায় চালানো তৎপরতা নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে আঙ্কারার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরদোগান বলেন, ২০২২ সালে তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে রফতানির পরিমাণ ১২ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে প্রায় ১০ হাজার কোম্পানি প্রথমবারের মতো বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী রফতানি করেছে।

তবে রফতানি আয় বাড়লেও তুরস্কের সামগ্রিক অর্থনীতির চেহারা খুব একটা উজ্জ্বল নয়। তুরস্কের সরকারি পরিসংখ্যান ও তথ্য সংস্থার মতে, গত বছর মুদ্রাস্ফীতি শতকরা ৮৪ ভাগের বেশি বেড়েছে। তবে তুরস্কের বেসরকারি অর্থনৈতিক সংস্থা ইএনএজি বলেছে, গত বছর মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে শতকরা ১৭০.৭ ভাগ।

মূলত গত ২ বছর ধরেই তুরস্কের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ রুটি কিংবা তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দামই বেড়েছে শতকরা অন্তত ৩০০ ভাগ।

২০১৮ সাল থেকে ধীরে ধীরে তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। চার বছরের মাথায় ওই সংকট নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ যেমন উধাও হয়ে গেছে তেমনি বেকারত্বও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। যার ফলে তুরস্কের স্থানীয় মুদ্রা লিরার মূল্যের ব্যাপক পতন হয়েছে। অর্থনীতির অন্যান্য সূচকেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।

স্বাভাবিকভাবেই তুরস্কের ক্ষমতাসীন এরদোগানের নেতৃত্বাধীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ দেশটির জনগণ। ওই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ১০ বছরে অর্থনৈতিক যে ইতিবাচক ও গঠনমূলক উন্নয়ন হয়েছিল তা পরবর্তী ১০ বছরে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। 

অর্থনৈতিক সূচক ২০০২ সালের চেয়েও নিম্নস্তরে নেমে গেছে। কমেছে জিডিপির পরিমাণও। ২০১৩ সালে ৯৫৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২ সালে জিডিপির আকার হয়েছে ৯০০ বিলিয়ন ডলার।

তুর্কি অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, তুরস্কে বাদশাহর মতো বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন রাজনীতিবিদের পরিবর্তে বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীর প্রয়োজন। তারা আরও বলছেন, তবে একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে এরদোগানের শাসনের প্রথম দশকে তুরস্কের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন হয়েছে।

এরদোগান এবং তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) আগামী বছরের পার্লামেন্টারি ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও কয়েক বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। প্রায় ২০ বছর ধরে দেশ শাসন করছেন এরদোগান। ২০০৩ সালে তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী ও ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here