বুধবার, মে ৩১, ২০২৩

২৪ অভিবাসী উদ্ধারকর্মীকে খালাস দিলেন গ্রিসের আদালত

Date:

এ সম্পর্কিত পোস্ট

ধোনির কাছে হারায় আফসোস নেই পান্ডিয়ার

আইপিএল ইতিহাসে সম্ভবত সেরা ফাইনাল উপভোগ করেছে দর্শকরা। শেষ...

চীনে তরুণদের বেকারত্বে রেকর্ড

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে বেকারত্ব বেড়ে গেছে।...

কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে ব্যর্থ উত্তর কোরিয়া

কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার (৩১মে)...

বাংলাদেশি শিশুর চিঠির জবাব দিলেন শি জিনপিং

চীনের মেডিকেল কলেজে পড়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে চীনের প্রেসিডেন্ট...

দেবের নায়িকা হচ্ছেন ‘মিঠাই’

জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে সব জল্পনার অবসান।...

অভিবাসী নিয়োজিত ২৪ উদ্ধারকর্মীকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন গ্রিসের একটি আদালত। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসী পাচারের অভিযোগটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রায়ে তাদের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন  গ্রিসের লেসবোস দ্বীপের মাইটিলিনের আদালত। পাশাপাশি মানবপাচারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত জারি করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) মানবপাচার, গুপ্তচরবৃত্তি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ২৪ অভিবাসী উদ্ধারকর্মীর বিচার শুরু হয় গ্রিসের লেসবসে৷

শুরু থেকেই এই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো৷ শুক্রবার আদালতের রায়ের আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে, ‘এ ধরনের বিচার সত্যই উদ্বেগজনক। কারণ এর দ্বারা এমন কাজকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয় যা মানুষের জীবন বাঁচায়। এটি একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করে।

আদালত জানায়, অভিবাসী উদ্ধারে জড়িত স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থতাসহ বেশকিছু পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে মাইটিলিন আদালত গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

আদালতের সিদ্ধান্তের পরই আসামিদের একজন নাসোস কারাকিতোসকে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা সাড়ে চার বছর ধরে জিম্মিবোধ করছি।’

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বার্লিনে বসবাসকারী বিখ্যাত সিরীয় উদ্বাস্তু সারাহ মার্ডিনি। তিনি ২০১৫ সালে এজিয়ান সাগরে হয়ে শরণার্থী হিসেবে গ্রিসে প্রবেশ করে জার্মানিতে স্থায়ী হয়েছিলেন। এই অভিবাসী-পরবর্তীতে তার স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তিনি ২০১৬ সালে অভিবাসীদের সহায়তা করতে জার্মানি থেকে লেসবোস দ্বীপে ফিরে এসেছিলেন।

২০১৮ সালের গ্রীষ্মে এনজিওর সঙ্গে কার্যকলাপের জন্য তাকে গ্রেপ্তার এবং ১০৬ দিনের কারাবাসের সাজা দেয়া হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

গ্রিসের আগ্রাসী নীতির কারণে ২০১৮ সাল থেকে বেশিরভাগ অভিবাসী উদ্ধারকারী এনজিওগুলো গ্রিক উপকূলে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালএই বিচারকে একটি ‘প্রহসন’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here