Homeবিনোদন‘পাঠান’ বিতর্কে মুখ খুললেন হানি

‘পাঠান’ বিতর্কে মুখ খুললেন হানি

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ‘পাঠান’ নিয়ে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। সেই আবহে চুপ করে থাকতে পারলেন না, ‘ইয়ো ইয়ো’ হানি সিংও। সময় এগোচ্ছে না পেছাচ্ছে, এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন দর্শকদের কাছে।

হিরদেশ সিং নাম হলেও ইয়ো ইয়ো হানি সিং অথবা হানি সিং নামেই অধিক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। হানি সিং একাধারে একজন ভারতীয় সংগীত পরিচালক, গীতিকার, ভারতীয় পপ গায়ক, সংগীত প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা।

হানি সিংয়ের দাবি, মতপ্রকাশ আগেও করতেন দেশবাসী, তবে এত হিংস্রতা ছিল না। বিনোদনের মজা নিতে পারতেন তারা। বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে বিষয়গুলোকে বিনোদন হিসেবেও গ্রহণ করতে পারতেন। এরপরই কারণ দেখালেন হানি।

১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘রোজা’ ছবির ‘রুকমণি রুকমণি’ গান জনপ্রিয় হয়েছিল এই দেশেই। ‘রুকমণি রুকমণি শাদি কে বাদ কেয়া কেয়া হুয়া’ (বিয়ের পর কী কী হল, রুকমণি? এমন কথার গান মানুষ সে সময় মেনে নিয়েছিলেন মজার ছলেই। এ আর রহমানের সেই গান নিয়ে বিতর্ক হয়নি। যা হল, ৩০ বছর পর, ‘পাঠান’-এর ‘বেশরম রং’ নিয়ে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বিষয়ে হানি আরও বলেন, মানুষ আগে শিক্ষিত কম হলেও বিচক্ষণ ছিলেন। শায়রির মর্ম বুঝতেন। তার মধ্যে ‘নোংরা’ কিছু দেখেননি। এখন যদি ‘চোলি কে পিছে ক্যায়া হ্যায়’-এর মতো গান কেউ বানান, তার কপালে দুঃখ আছে।

সম্প্রতি অযোধ্যার রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন তপস্বী ছাবনীর সাধুরা। পরমহংস আচার্য সেখানে হুমকি দেন, শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা হলে তাকে জীবিত পুড়িয়ে মারবেন। এ বিষয়ে হানি বলেন, “হালের দর্শকের এত বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠার কারণ আমি বুঝতে পারছি না।

এখন হালকা চালের গান বানালেও মানুষ প্রতিবাদ শুরু করেন, বয়কটের ডাক দেন। বিনোদনের অর্থ কী রইল তা হলে? এমন প্রশ্ন করে আক্ষেপও করেন জনপ্রিয় এই সুপারস্টার। 

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version