Homeআন্তর্জাতিকবাখমুতে অস্ত্র সংকটে ওয়াগনার, বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কা প্রিগোজিনের

বাখমুতে অস্ত্র সংকটে ওয়াগনার, বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কা প্রিগোজিনের

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভেজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ না পেলে বাখমুতের দখল করা অঞ্চল ধরে রাখা কঠিন হবে। এ অবস্থায় রাশিয়া পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ না করায় বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে ওয়াগনার এবং ক্রেমলিনের মধ্যকার টানাপোড়েন স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠল। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ১৫৫তম ব্রিগেড বাখমুতের দক্ষিণে ভুলেদার শহরের কাছে লড়াই করছে। শহরটি দখল করার প্রচেষ্টায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে রুশরা। অবশেষে তারা সেখান থেকে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে।   

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার (৫ মার্চ) রাশিয়ার সেনারা জাপোরিঝিয়ায় থাকা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর আজভ রেজিমেন্টের একটি কমান্ড সেন্টারে আঘাত হেনেছে। এই হামলায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।  

ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বাখমুতে এখনো পর্যন্ত তার বাহিনী এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো তার বাহিনীকে যে পরিমাণ গোলাবারুদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা না পেলে বাখমুতের কাছে রাশিয়ার আক্রমণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।’

কেন গোলাবারুদ-অস্ত্র আসতে দেরি হচ্ছে সে বিষয়ে রোববার টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রিগোজিনে বলেছেন, ‘আমরা কারণটি বের করার চেষ্টা করছি। এটি কি কেবলই সাধারণ আমলাতন্ত্রিক জটিলতা নাকি বিশ্বাসঘাতকতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ওয়াগনারকে বাখমুত থেকে পিছু হটতে হয় তবে পুরো ফ্রন্টটি ভেঙে পড়বে। যা রুশ স্বার্থ রক্ষাকারী সামরিক বাহিনীর জন্য মোটেও মধুর পরিস্থিতি তৈরি করবে না।’ 

ভিডিওতে ওয়াগনার প্রধান রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান এবং শীর্ষ জেনারেলদের সমালোচনা করেন। গত মাসে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং অন্যদের বিরুদ্ধে তার লোকদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার দায়ে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগ করেন।

এর আগে, গত শনিবার (৪ মার্চ) ওয়াগনার প্রধান টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত প্রায় চার মিনিটের আরেকটি ভিডিওতে বলেছিলেন, তার সৈন্যরা আশঙ্কা করছে যে, রাশিয়া যুদ্ধে হেরে গেলে সরকার তাদের সম্ভাব্য বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করবে।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version