Homeজেলাপ্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রকৌশলী সহ ৬ জন কারাগারে

প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রকৌশলী সহ ৬ জন কারাগারে

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।

প্রকল্পের কাজ না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) দায়ের করা মামলায় এলজিইডির প্রকৌশলী সহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা ও দায়রাজজ আদালত।

আসামীর বুধবার(১২ জুলাই) আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মোছা.জাকিয়া পারভীন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন,কালোখালি উপজেলার মেসার্স রুমী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো.আশরাফ উদ্দিন(৪৯), পাংশা উপজেলার মেসার্স নাসিম এন্ড ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুকুল হোসেন(৩৮), পাংশা উপজেলার একেএম মেসার্স তাসরিফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তৌফিক এলাহী(৩৪), পাংশা উপজেলার মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো.জাকির হোসেন মোল্যা(৪৯), কালুখালি উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার শেখ মো.শফিকুল ইসলাম(৫০) ও কালুখালি উপজেলা এলজিইডির সাবের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে ভোলার চরফ্যাশান উপজেলা এলজিইডিতে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.আবুল হোসেন(৫৪)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে রাজবাড়ী জেলার কালুখালি উপজেলা পরিষদের অধিক্ষেত্রে মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন জায়গায় বাস্তবায়িত পাঁচটি প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে না করে ঠিকাদার সহ এলজিইডির সার্ভেয়ার ও উপসহকারী প্রকৌশলী সর্বমোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৬ টাকা অর্থ আত্মসাত করে।

পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল বাদী হয়ে ২০২১ সালে ১৬ জুন বিজ্ঞ আদালতে উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর হলো পেনাল কোডের ৪০৯/৪৬৮/৪৭৭(ক) ও দূর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা।

দুদকের আইনজীবী(পিপি) এ্যাড.বিজন কুমার বোস জানান, বুধবার অভিযুক্ত ৬ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুদক ফরিদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে রাজবাড়ী কালুখালি উপজেলা পরিষদে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ হলে আসামিরা কাজ না করে টাকা আত্মসাত করে।পরবর্তীতে দুদকের ফরিদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল বাদি হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর