Homeরাজনীতিসংঘাতের রাজনীতি পরিহার করুন, না হলে ভয়াবহ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে: মঈন খান

সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করুন, না হলে ভয়াবহ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, হয়তো ভয়ভীতি দেখিয়ে চিরদিন ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আগামীর প্রজন্মের কাছে কোন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছেন? তাই সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলুন। তা না হলে বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক ভয়াবহ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার যা বলে দিবে এর ডানে বা বামে যেতে পারবে না মানুষ। এভাবে দেশ চলতে পারে না। একদলীয় স্বৈরাচার কায়েম করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে তারা। বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলেন গণতান্ত্রিক স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র মৃত। এখানে নতুনভাবে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারকে উদ্দেশ্যে করে মঈন খান বলেন,

অনেকেই বলেন নতুনভাবে বাংলাদেশে কেন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। এজন্য বিএনপি নাকি হতাশ? তাহলে কী আরও নিষেধাজ্ঞা এলে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিত? কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে?’

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সরকার কী আশা করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে, স্যাংশন দিলে গণতন্ত্র কী ফিরিয়ে দিবে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য নীতি সংকোচনের অপেক্ষায় না থেকে, স্বপ্রণোদিত হয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন।

সরকারকে কোটি কোটি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ চিন্তা করে না- এসব কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, আমরা সত্যের পথে আছি, গণতন্ত্রের পথে থাকবো। সরকারের কাছে আবেদন করবো, আপনারা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন, কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে কোন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছেন?

আমরা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি শুধু ফলাফল ঘোষণা করবে। তফসিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা সত্যের পথে আছি। জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের বিজয় হবেই জানান বিএনপির এ নেতা।

‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

সর্বশেষ খবর