Homeরাজনীতি৫৩ বছরে দেশে ‘ঋণের উন্নয়ন’ ঘটেছে: মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল

৫৩ বছরে দেশে ‘ঋণের উন্নয়ন’ ঘটেছে: মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল

ঘুষ-দুর্নীতি-সিন্ডিকেটের প্রভাবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ঋণের উন্নয়ন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

শহিদুল কবির বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিবর্তে ঋণের উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় চাটার দলের লোকেরা নিজেদের আখের গোছাতে স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে বাস্তবিক অর্থে দেশকে টেনে পেছনে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দেশে পরিবারপ্রতি এবং মাথাপিছু ঋণ প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার তথ্য ৫৩ বছরে রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকা দলগুলোর চরম ব্যর্থতার দলিল ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকেছে, তারা জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে উন্নয়নের কথা বলে ঘুষ, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট এবং বিদেশে অর্থ পাচার করে বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলের মানুষের ঋণ অনেক বেশি। জরিপের তথ্যানুসারে, শহর এলাকায় প্রতি পরিবার গড়ে ঋণ নিয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৬ টাকা। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে প্রতি পরিবার ঋণ নিয়েছে ৪৪ হাজার ৪১১ টাকা। সেই হিসাবে শহরের পরিবারগুলোর ঋণ গ্রামের পরিবারগুলোর চেয়ে তিন গুণ বেশি।

শহিদুল বলেন, অতীত ও বর্তমানের ক্ষমতাসীনরা মানুষকে ঋণমুক্ত করতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। লুটপাট করে সম্পদের পাহাড় গড়তে ১ টাকার প্রজেক্ট ৩-৪ টাকা দেখিয়ে ঋণ বৃদ্ধি করা দুঃখ ও হতাশাজনক।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপে স্বাধীনতার ৫৩ বছরের সরকারগুলোর ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। এর থেকে উত্তরণে ক্ষমতাসীন সরকার ও জনগণ সোচ্চার না হলে প্রিয় মাতৃভূমি অদূরভবিষ্যতে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হতে পারে।

সর্বশেষ খবর