Homeসর্বশেষ সংবাদহুমাইরা যেন বঞ্চিত না হয়, তা দেখা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হুমাইরা যেন বঞ্চিত না হয়, তা দেখা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় অভিযোগকারী হুমাইরা ইসলাম ও অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ওই শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত পরিদর্শককে ডেকে পাঠানো হয়। পরে মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে মূল বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি।

এ সময় ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার্থী যাতে কোনোভাবে বঞ্চিত না হয় এবং পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তবে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।

শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগ, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার দিন পাশের এক শিক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেলে সন্দেহের জেরে হুমাইরারও ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন হলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা। পরে ভুল বোঝার জেরে শিট ছেঁড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে হুমাইরাকে ওএমআর শিট দেয়া হয়। তবে উত্তর দেয়া সময় ছিল না তার হাতে।

এ বিষয়ে মেডিকেলের ফল প্রকাশের দিন অভিযোগ জানাতে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন হুমাইরা ও তার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ রয়েছে এ ঘটনায় জড়িতদের দিয়েই পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তবে ওএমআর শিট ছেঁড়া বা পরীক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের।

সময় সংবাদকে ডা. নাফিসা বলেন, ওইদিন খুব স্বাভাবিক পরিবেশেই পরীক্ষা হয় ৮২৩ নম্বর রুমে। ওএমআর ছেঁড়াতো দূরের কথা, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।

ডা. নাফিসা বলেন, ‘১০টা বাজলেই রুম আটকে দেয়া হয়। কতজন এসেছিলেন, সেটা গণনা করা হয়। সবকিছু হল সুপার করেন। সেখানে ১০৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। দুইজন অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষা শেষে বাকিদের খাতা গণনা করে নেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় কোনো ডিভাইস পাওয়া বা এরকম কিছু হলে হল সুপার এ বিষয়ে সাধারণত নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানান। কিন্তু আমার রুমে এরকম কোনো ডিভাইস পাওয়া তো দূরের কথা, এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। সুন্দর মতো পরীক্ষা হওয়ার পর আমরা বের হয়ে আসি।’

সর্বশেষ খবর