Homeসর্বশেষ সংবাদবগুড়া-নীলফামারী পাইপলাইনের কাজ শেষ, গ্যাস মিলবে কবে?

বগুড়া-নীলফামারী পাইপলাইনের কাজ শেষ, গ্যাস মিলবে কবে?

কৃষি নির্ভর রংপুরের শিল্পখাতকে এগিয়ে নিতে বগুড়া থেকে নীলফামারী পর্যন্ত শেষ হয়েছে গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইনের কাজ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও সংযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। তবে শিল্প, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরি করতে হলে ঠিক সময়ে গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের দাবি উদ্যোক্তাদের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্পের ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন রংপুরের পীরগঞ্জ টিবিএস স্টেশনে শিখা প্রজ্বলন পাইপে আগুন দেয়ার মধ্য দিয়ে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের জ্বালানি গ্যাসের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। ৫টি সেকশনে ভাগ করে পাইপলাইনের কাজটি যথাসময়ে শেষ করেছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। যদিও করোনা মহামারীর কারণে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করাই ছিলো বড় চ্যালেঞ্জ।

গ্যাস সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন করতে মোট ৩টি সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই (সিজিএস) ও অ্যাডভান্সড টার্মাইট টোপ মনিটরিং স্টেশন (টিবিএস) নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পীরগঞ্জ টিবিএস থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট, রংপুর টিবিএস থেকে ৫০ মিলিয়ন এবং সৈয়দপুর সিজিএসের সরবরাহ ক্ষমতা ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। তবে লাইনের গ্যাস সরবরাহ সক্ষমতা প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

আপাতত ভারি শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড এবং রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা থাকলেও ক্ষুদ্র শিল্পকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।

রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রাকিবুল হাসান বলেন, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদেরও গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে আমাদের কাঙ্খিত যে উন্নয়ন বা যে শিল্পবিপ্লব ঘটাতে চাই; সেটা আমরা পারবো।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আকবর আলী বলেন, শিল্প কলকারখানা গড়ার সম্ভাবনা এখানে আছে। শুধু গ্যাসের অভাবে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। গ্যাস সঞ্চালনটা যদি দেয়া হয়। তাহলে ভারি শিল্প ও কলকারখানাগুলো এখানে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, কলকারখানাগুলো যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারে। তাহলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে উত্তরে যে গ্যাস আন্দোলনটি হয়েছিল সেই শিল্পায়নের উদ্যোগটি ব্যাহত হবে। যথা সময়ে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে উত্তরের ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশে এর সুফল মিলবে না।

জিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্ল্যান্ট ও গ্যাস ডিট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের কাজ সম্পন্ন হলে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে গ্যাসের প্রাপ্যতার ওপর।

প্রকল্প পরিচালক, রংপুর, নীলফামারী ও পীরগঞ্জ এলাকা গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌ. মো. ফজলুল করিম বলেন, এরই মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজের সময়সীমা রয়েছে।

বগুড়া থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ লাইন সঞ্চালন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা; যা বাস্তবায়ন করেছে জিটিসিএল।

সর্বশেষ খবর