Homeখেলাবাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়

বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়

হাইড্রেশন পানীয় বাজারে আনছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। নাম এখনো ঠিক না করলেও এই পানীয় চলতি বছরের ১৪ জুন বাজারজাত করা হবে বলে এক বিবৃতে জানানো হয়েছে। পানীয় উৎপাদন কারখানাটি নিজেই পরিদর্শন করেছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। সাধারণ মানুষের কাছে হাইড্রেশন পানীয়টি পৌঁছে যাওয়ার আগে নিজেই সব যাচাই বাছাই করছেন লিও।

এক জীবনে ফুটবল ক্যারিয়ারে সব কিছুই পেয়েছেন লিওনেল মেসি। শুধু বাকি ছিল একটা সোনালী ট্রফি, সেটাও নিজের করে নিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। ৩৬ বছর পর আর্জেনটিনাকে জিতিয়েছে স্বপ্নের বিশ্বকাপ। লম্বা ক্যারিয়ার প্রাপ্তি আর অর্জন অনেক। তবে ঠিক আর কতদিন ফুটবল পায়ে মাঠে দেখা যাবে লিওকে তা নিয়ে আছে নানা আলোচনা। তবে ফুটবলের ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এখন আর্জেন্টাইন তারকা। তাই হয়তো যতৎ দিন যাচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যের দিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

বেশ কিছু ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আর্জেনটাইন তারকা। নামিদামি অনেক ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেন তিনি। তবে এবার নিজেই বাজারে আনতে যাচ্ছেন হাইড্রেশন ড্রিংক। চলতি বছর ১৪ জুন এই অ্যালকোহল মুক্ত পানীয়টি বাজারজাত করা হবে। উৎপাদনের শুরুতে এই পণ্য শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বাজারেই পাওয়া যাবে। পরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পানীয় বাজারে আনা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেসি। একটি ভিডিওটিতে মেসি এবং তার স্ত্রী এক পানীয় প্রস্তুতকারক কারখানা পরিদর্শন করতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষের কাছে এই হাইড্রেশন ড্রিংটি পৌঁছে যাওয়ার আগে নিজেই সব যাচাই বাছাই করছেন বলে নিশ্চিত করেন আর্জেনটাইন তারকা।

মেসি বলেন, ‘আমাদের হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য পরিশ্রম করছি। এটা অ্যালকোহল মুক্ত একটি পানীয়, হাইড্রেশন সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগামী প্রজন্মের হাইড্রেশন নিশ্চিত করতে চাই। সবকিছু ঠিকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমি এই পানীয়টি যেখানে তৈরি করা হচ্ছে সে কারখানা পরিদর্শন করেছি। কারণ আমি নিজেই যাচাই বাছাই করে এটা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে চাই।’

নানা ধরনের ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠানের পণ্যের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বিপুল পরিমাণ আয় করেন মেসি, যেখানে অ্যাডিডাস ও পেপসিকোর মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডও আছে। অ্যাডিডাসের সঙ্গে চুক্তির ফলে বছরে ২৫ মিলিয়ন ডলার পান মেসি। এছাড়া ক্রিপ্টো ফার্ম সোসিওস ডটকম থেকে বছরে ২০ মিলিয়ন এবং সৌদি ট্যুরিজম থেকে বছরে ২৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি পেয়ে থাকেন লিও। এছাড়া নিজস্ব একটি কাপড়ের ব্র্যান্ডও রয়েছে মেসির। ২০১৯ সালে এই ব্র্যান্ড খোলেন যেখানে স্পোর্টস ওয়্যার সঙ্গে অন্যান্য কাপড়ও পাওয়া যায়।

নাম এখনো ঠিক না করলেও এই পানীয় বাজারে আনার ঘোষণা গেল মার্চেই দিয়েছেন মেসি। সে সময় তিনি বেভারেজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্ক অ্যান্থনি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানান। এছাড়া ২০২২ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে প্লে টাইম স্পোর্টটেক নামের ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা খোলেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। যে প্রতিষ্ঠান খেলাধুলায় নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করা হয়। এ ছাড়া হোটেল ব্যবসাসহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version