Homeবিনোদনশুভ জন্মদিন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

শুভ জন্মদিন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

বাংলার সংগীত জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক ছিলেন তিনি। গুণী এই সংগীত ব্যক্তিত্বের আজ ৬৭তম জন্মদিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গুণী এই শিল্পীর পদচারণা ছিল সংগীতের সব শাখাতেই। তার গানে যেমন খুঁজে পাওয়া যায় স্বাধীনতার যুদ্ধের গান, তেমনি খুঁজে পাওয়া যায় ভালোবাসার পরশও।

দীর্ঘ সংগীত জীবনে অসংখ্য গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। করেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার কাজও। তার লেখা জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে সব ক’টা জানালা খুলে দাও না, আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি, মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে, সেই রেললাইনের ধারে, সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন ইত্যাদি।

তার লেখা আরও কিছু কালজয়ী গান হলো আমি তোমার দুটি চোখে দুটি তারা হয়ে থাকব, আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে, তোমার আমার প্রেম এক জনমের নয়, ফুল নেব না অশ্রু নেব, তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ে সুখের দোলা, তুমি আমার এমনই একজন, আমার বুকের মধ্যেখানে ইত্যাদি।

দীর্ঘ সংগীত জীবনে সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপা, আইয়ুব বাচ্চুসহ দেশের প্রায় সব জনপ্রিয় শিল্পীর নিয়ে কাজ করেছেন গুণী এই সংগীত ব্যক্তিত্ব।

এ ছাড়া সংগীত প্রতিভা অন্বেষণে রিয়েলিটি অনুষ্ঠান ক্লোজআপ ওয়ানের তিন মৌসুমে বিচারকও ছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

সংগীতের উজ্জ্বল এই নক্ষত্র ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। ১৯৭০-এর দশকের শেষ লগ্নে গানের জগতে অবদান রাখতে শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি। এরপর আমৃত্যু সংগীত সাধনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গুণী এই শিল্পী

সর্বশেষ খবর