Homeআন্তর্জাতিকচীনা পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: বেইজিং

চীনা পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: বেইজিং

চীনা পর্যটকদের ভ্রমণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরোপ করা বিধিনিষেধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং। একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিযোগ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আরোপ করা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ নেয়ারও হুমকি দিয়েছে চীন।

সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়, বুধবার (৪ জানুয়ারি) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির পর্যটকদের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিযোগ করে। 

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীন সবসময় বিশ্বাস করে, মহামারি মোকাবিলায় বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক পদক্ষেপ নেবে বিশ্ব। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলোকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টার আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি। বেইজিং সবসময় বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে আগ্রহী। 

গত বছরের শেষ দিকে বিক্ষোভের মুখে নিজেদের ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে দাঁড়ায় চীন। প্রত্যাহার করা হয় সংক্রমণের বিস্তার রোধে আরোপ করা অধিকাংশ বিধিনিষেধ। দীর্ঘদিন পর খুলে দেয়া হয় সীমান্ত। এতে অনেকটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন চীনা নাগরিকরা। অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভ্রমণের টিকিট বুকিংয়ে। 

তবে বিপত্তি দেখা দেয় অন্য জায়গায়। সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়ায় চীনে রেকর্ড হারে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। ফাঁস হওয়া সরকারি নথিতে উঠে আসে ভয়াবহ চিত্র। এক দিনে কয়েক কোটি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ পায়। 

এমন পরিস্থিতিতে চীনা পর্যটকদের জন্য একের পর এক ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চীন থেকে আগতদের বিমানবন্দরেই কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। 

২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে চীন সরকার তাদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। যারাই দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন তাদের কোভিড পরীক্ষা এবং কোয়ারেন্টিনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অবশেষে আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে চীনে ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version