Homeখেলারুকসানা-সুর কৃষ্ণের বাজিমাত, আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি

রুকসানা-সুর কৃষ্ণের বাজিমাত, আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি

রাজধানীর একটি হোটেলে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হলো পেশাদার বক্সিং টুর্নামেন্ট। দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশন। ভারত, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, থাইল্যান্ডের বক্সারদের অংশগ্রহণ ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে এবারের আসরে।

ঝলমলে আলোতে একঝাঁক বক্সারের যুদ্ধ-খেলা। ভিনদেশিদের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশিরাও নিজেদের সক্ষমতার জানান দিতে লড়েছেন প্রাণপণে। দেশের বক্সিং ইতিহাসের দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হল পেশাদার বক্সিং টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশগ্রহণ করেন ভারত, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও থাইল্যান্ডের বক্সাররা।

ফেদারওয়েট, লাইট হেভিওয়েট, ব্যান্টামওয়েট, ক্রুজারওয়েট, ফ্লাইওয়েট, লাইটওয়েট ও ওয়েল্টারওয়েট ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেন বক্সাররা। দেশসেরা বক্সার আল আমিন, সুর কৃষ্ণ চাকমাদের উপস্থিতি আসরের রোমাঞ্চ বাড়িয়েছে। পেশাদার বক্সিংয়ের এবারের আসরে অংশগ্রহণ করে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ বক্সার রুকসানা। যার বিপক্ষে লড়েছেন রাজশাহীর প্রতিযোগী তানজিলা। চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টে বাজিমাত করেছেন সুর কৃষ্ণ চাকমা।

এ ধরনের টুর্নামেন্ট দেশের বক্সিংয়ে নতুন দ্বারের উন্মোচন করবে বলে মত বক্সারদের। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে লড়াই করা বক্সারদের বিপক্ষে খেলায় আত্মবিশ্বাসও বাড়বে বলে আশা তাদের।

সুর কৃষ্ণ চাকমা বলেন, ‘আমি মনে করি, আরও বড় বড় ইভেন্ট হলে আমাদের জন্য আরও ভালো হবে। যেমন, আমার পরবর্তী লক্ষ এশিয়ার টাইটেল হোল্ডার যে বক্সাররা আছেন, ওদেরকে চ্যালেঞ্জ করা। এখন স্বপ্ন দেখতে পারছি এমন একটা ইভেন্টের কারণে।’

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বক্সার রুকসানা বলেন, ‘আমি ১৪-১৫ বছর ধরে বক্সিং করছি। আমি এরই মধ্যে মুয়েই থাই কিক বক্সিংয়ে আমি এরই মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ১২ থেকে ১৫ বছর ধরে আমি গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি ইউরোপ-আমেরিকায় লড়েছি। এশিয়ান ছেলেদের লড়তে দেখেছি কিন্তু আমি কোনো এশিয়ান নারী বক্সারকে সেভাবে উঠে আসতে দেখিনি। এখানে তাই আমি উৎসাহিত করতে এসেছি। আমি বিশ্বের নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করতে চাই।’

এদিকে, বক্সিংয়ের মতো চ্যালেঞ্জিং খেলার প্রসারেই এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। ফুটবল-ক্রিকেট নয়, বিশ্ব দরবারে বক্সিংয়ের মাধ্যমে লাল-সবুজের পতাকা উচিয়ে ধরতে প্রত্যয়ী সংশ্লিষ্টরা।

উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটাঙ্গনের কর্তাব্যক্তিরাও। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের পেশাদার বক্সিং যদি তারা প্রোমোট করে, স্পন্সর করতে থাকে, আমরা অচিরেই পেশাদার সার্কিটে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাব। যে কোনো খেলাতেই, ক্রিকেট হোক, ফুটবল হোক, আমাদের উচিত বাংলাদেশের প্রতিটি খেলাকে সমর্থন দেওয়া, উৎসাহ দেওয়া।’

সর্বশেষ খবর